কক্সবাজারের রামুতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষককে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার ঈদগড় ইউনিয়নের শরীফপাড়া এলাকায় নিজ বাড়িতে তাঁকে গুলি করা হয়। নিহত মো. নুরুচ্ছাফা (৩০) স্থানীয় বড়বিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ছিলেন। দুর্বৃত্তদের গুলিতে আহত হয়েছেন শিক্ষকের ছোট ভাই মো. নুরুন্নবীও। এ ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে।
পুলিশ ও নিহত শিক্ষকের পরিবারের সদস্যরা বলছেন, জমি নিয়ে বিরোধের কারণে ডাকাতের বেশে প্রতিপক্ষের লোকজন এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে।
নিহত শিক্ষক নুরুচ্ছাফার বাবা আবদুল মাবুদ বলেন, ৮-১০ জন অস্ত্রধারী দুর্বৃত্ত মঙ্গলবার গভীর রাতে বাড়ির দরজা ভেঙে ভেতরে ঢোকে। নুরুচ্ছাফা ও নুরুন্নবীসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা তখন ঘুমিয়ে ছিলেন। হইচই হলে তাঁরা সবাই জেগে ওঠেন। নুরুচ্ছাফা দুর্বৃত্তদের প্রতিরোধ করতে চাইলে তাঁকে গুলি করা হয়। ভাইকে বাঁচাতে এগিয়ে গেলে নুরুন্নবীকে (২৭) গুলি করে তারা। গুলির শব্দে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এলে দুর্বৃত্তরা পাশের জঙ্গলে আত্মগোপন করে।
আবদুল মাবুদের দাবি, এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। এলাকার প্রভাবশালী মহলের সঙ্গে তাঁদের জমি নিয়ে বিরোধ আছে। এর জের ধরে ডাকাত বেশে এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। তারা ঘরের কোনো মালামাল লুট করেনি।
রামু থানার পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) মো. কায়কিসলু বলেন, নিহত শিক্ষকের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। তাঁর বুকে গুলির চিহ্ন রয়েছে। গুলিতে আহত নুরুন্নবীকে একই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। জমিসংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে।
ওসি বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে মো. জাহাঙ্গীর নামে এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। দুর্বৃত্তদের ধরতে পুলিশ এলাকায় অভিযান চালাচ্ছে।