গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের মালিকানাধীন কক্সবাজারের সায়মান বিচ রিসোর্টে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগে ছাত্রলীগের দুই নেতাসহ ৩৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
হোটেলের ব্যবস্থাপক (মানবসম্পদ বিভাগ) মো. মনির হোসেন ২ জানুয়ারি রাতে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় এই মামলা করেন।
মামলায় ছাত্রলীগের কক্সবাজার শহর শাখার যুগ্ম সম্পাদক ও শহরের নতুন বাহারছড়ার সিফাত (২৮), জেলা ছাত্রলীগের সদস্য শহরের টেকপাড়ার ফয়সালসহ (৩২) অজ্ঞাতনামা ৩৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। গতকাল সোমবার বিকেল পর্যন্ত পুলিশ মামলার কোনো আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০১৫ সালের শেষ দিন থার্টি ফাস্ট নাইট উপলক্ষে রিসোর্টের ‘মেরিনা বলরুমে’আয়োজন করা হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের। সেদিন দেশি-বিদেশি অতিথিদের সঙ্গে রিসোর্টে ছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। রাত পৌনে একটার দিকে ফয়সাল ও সিফাতের নেতৃত্বে ৩৫ জন মাতাল জোর করে মেরিনা বলরুমে ঢুকে পড়ে। এরপর অতিথিদের জন্য রাখা আসবাবপত্র এদিক-সেদিক ছোড়াছুড়ি ও ভাঙচুর শুরু করে। এরপর মাতাল ব্যক্তিরা স্টেজের ওপর উঠে মিউজিকম্যানদের মারধর শুরু করে। এ সময় সাউন্ড সিস্টেমসহ রিসোর্টের বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাঙচুর এবং রিসোর্টের মহাব্যবস্থাপকসহ নিরাপত্তাকর্মীদের মারধর ও লাঞ্ছিত করা হয়।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসলাম হোসেন জানান, সায়মান বিচ রিসোর্টে থার্টি ফাস্ট নাইটের অনুষ্ঠানে একদল দুর্বৃত্ত হামলা ও ভাঙচুর চালিয়েছে। তাদের ধরার চেষ্টা চলছে।
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ইশতিয়াক আহমেদ বলেন, ‘মন্ত্রী সাহেবের মালিকানাধীন সায়মান বিচ রিসোর্টে থার্টি ফাস্ট নাইটের অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে রিসোর্ট কর্তৃপক্ষের ভুল-বোঝাবুঝি হয়েছে। বিষয়টি মীমাংসার জন্য মন্ত্রী মহোদয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে।’