জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষ সিনেট অধিবেশন মঙ্গলবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনের সিনেট মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ও সিনেট চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. হারুন-অর-রশিদের সভাপতিত্বে ‘কলেজ শিক্ষার মানোন্নয়ন’ বিষয়ক এজেন্ডা নিয়ে এ বিশেষ সিনেট অধিবেশনের আয়োজন করা হয়।
ভিসি তার বক্তব্যে চিহ্নিত শীর্ষ যুদ্ধাপরাধী ও স্বাধীনতাবিরোধীদের বিচারের রায় কার্যকর করাকে বছরের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ঘটনা হিসেবে আখ্যায়িত করেন। এ সময় তিনি ঘোষণা দেন, ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি কলেজ শিক্ষার মানোন্নয়নে বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে ১৩০ মিলিয়ন ডলারের একটি প্রকল্প প্রস্তাব চূড়ান্তকরণ, সেবাগ্রহীতাদের জন্য কল সেন্টার ও ওয়ান স্টপ সার্ভিস সেন্টার চালু, ৫০ বছর অগ্রগতি মাস্টার প্ল্যান বাস্তবায়নে গৃহীত পদক্ষেপ, কলেজগুলোর শিক্ষার মান নির্ণয়ে র্যাং কিং ব্যবস্থা, ‘স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়’ বিষয়ে কলেজ শিক্ষকদের বিশেষ প্রশিক্ষণ, আন্তঃকলেজ সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া অনুষ্ঠান আয়োজন, ই-ফাইলিং চালু, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার নতুন বিষয় প্রবর্তন, জিপিএ’র ভিত্তিতে অনার্সে ভর্তি, সেশনজট নিরসনে গৃহীত ক্রাশ প্রোগ্রাম ও একাডেমিক ক্যালেন্ডার ঘোষণা এবং এর অগ্রগতি, আঞ্চলিক কেন্দ্রগুলোতে নিজস্ব ভবন নির্মাণে ডিপিপি প্রণয়ন, বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনে ‘স্বাধীনতা’ নামে মুক্তিযুদ্ধের ম্যুরাল স্থাপন ইত্যাদি বিষয় তুলে ধরেন।
অধিবেশনে সম্প্রতি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সংখ্যা নিয়ে যে প্রশ্ন তুলেছেন এবং মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব নিয়ে অসত্য ও মনগড়া কথা বলেছেন তার জন্য নিন্দা প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়।
অধিবেশনে অন্যদের মধ্যে অধ্যাপক ড. শরীফ এনামূল কবির, সিরাজ উদ্দীন আহমেদ, রামেন্দু মজুমদার, শামসুজ্জামান খান, অধ্যক্ষ ড. মো. আবুল ফতেহ, অধ্যাপক শাহ সাজেদা, অধ্যক্ষ কাজী ফারুক আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব মো. হেলাল উদ্দিন, অধ্যাপক ড. আল মাসুদ হাসানুজ্জামান, অধ্যাপক আবু বকর সিদ্দিক প্রমুখ বক্তব্য দেন। এছাড়াও প্রোভিসি প্রফেসর ড. মো. আসলাম ভূঁইয়া ও প্রফেসর ড. মুনাজ আহমেদ নূর এবং কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. নোমান উর রশীদ উপস্থিত ছিলেন।