আচরণবিধি লঙ্ঘন করে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর আসনের সাংসদ আবদুল ওদুদ বেসরকারি উচ্চবিদ্যালয়, মাদ্রাসা ও কলেজের শিক্ষকদের নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিতে বাধ্য করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
রোববার সকালে শহরের পাঠাপাড়ায় আবদুল ওদুদের ব্যক্তিগত কার্যালয় হিসেবে ব্যবহৃত ভাড়া বাড়িতে জড়ো হন পৌর এলাকার বিভিন্ন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানেরা। এতে বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদেরও দেখা যায়। এখানে সভা করার পর শিক্ষকেরা মৌন মিছিল করে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিতে রাস্তায় বের হন এবং বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে নৌকা প্রতীকের মেয়র প্রার্থীর প্রচারপত্র বিলি করেন।
তবে সাংসদ আবদুল ওদুদ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমি কাউকে নৌকার পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিতে বাধ্য করিনি। আওয়ামী লীগের সমর্থক শিক্ষকেরা গতকাল স্বতঃস্ফূর্তভাবে এসে জড়ো হন ও প্রচরণায় অংশ নেন। এ ছাড়া আমার কাছে কেউ এলে বলি, যাঁকে দিয়ে উন্নয়ন হবে, তাঁকেই ভোট দেবেন। এটা বলা অন্যায় নয়। আমি নির্দিষ্টভাবে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার কথা বলিনি।’
এদিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রচার অভিযানে অংশ নেওয়া তিন-চারজন শিক্ষক জানান, সাংসদ আবদুল ওদুদ আওয়ামী লীগের সমর্থক শিক্ষক নেতাদের মাধ্যমে তাঁদের পাঠানপাড়ায় তাঁর (সাংসদ) ব্যক্তিগত কার্যালয়ে ডেকেছেন। শিক্ষক নেতারা তাঁদের নৌকার পক্ষে প্রচারণায় অংশ নিতে বলেন। প্রচারণায় অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিচালনা কমিটির সভাপতি হলেন সাংসদ। তা ছাড়া অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সভাপতিও সাংসদের মনোনিত ব্যক্তি। সে ক্ষেত্রে সাংসদকে উপেক্ষা করা শিক্ষকদের পক্ষে সম্ভব নয়। তাঁদের মধ্যে একজন বলেন, ‘কী করব ভাই, চাকরি তো বাঁচাতে হবে।’
বিএনপির বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও সদর আসনের সাবেক সাংসদ হারুনুর রশীদ অভিযোগ করেন, আচরণবিধি লঙ্ঘন করে সাংসদ আবদুল ওদুদ বেসরকারি স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষকদের নৌকা প্রতীকের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিতে বাধ্য করেছেন। তাঁদের ভয়-ভীতি দেখিয়ে বলা হচ্ছে, পৌর নির্বাচনে মেয়র পদে নৌকা প্রতীকের পক্ষে কাজ না করলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিও বাতিল করা হবে।