পাঁচ লাখ দারুল ইহসান সনদধারী বিপাকে

বদরুল আলম শাওন |

বিপাকে পড়েছেন দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় পাঁচ লাখ সনদধারী। গত প্রায় দশ বছরে দারুলের মূল ক্যাম্পাসসহ বিভিন্ন শাখা-প্রশাখা থেকে প্রশাসন ও শিক্ষাসহ বিভিন্ন ক্যাডার কর্মকর্তা ও সরকারি বেসরকারি শিক্ষকরা টাকার বিনিময়ে এসব সনদ যোগাড় করেছেন। নতুন চাকরি, পদোন্নতি, উচ্চতর স্কেলসহ নানাকাজে ব্যবহার করেছেন এইসব সনদ। আবার অনেকে চাকরি আবেদন করেছেন। কেউ কেউ শুধু সনদ নিয়ে রেখেছেন সুযোগমতো ব্যবহার করার জন্য।


প্রথমে হাইকোর্ট বিভাগের রায়ে দারুল ইহসান বন্ধ ও পরে আপীল বিভাগে হাইকোর্টের রায় বহাল রাখায় পুরোপুরি বিপাকে পড়েছেন এইসব সনদধারীরা। সবচেয়ে বেশি বিপদে কর্মরতরা। গত সপ্তাহে আপীল বিভাগের রায় ঘোষণার পরপর কয়েকজন সাবেক ও বর্তমান যুগ্ম-সচিব, উপ-সচিব, বিভিন্ন স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসার শিক্ষকরা দৈনিকশিক্ষায় টেলিফোন করে জানতে চেয়েছেন কোন সন থেকে নেয়া সনদ বাতিল হচ্ছে। সদনধারীদের মধ্যে যারা চাকরিরত তাদের কী হবে? যারা চাকরি পেয়েছেন কিন্তু স্থায়ী হয়নি তাদের কী হবে? যারা পদোন্নতি পেয়েছেন দারুলীয় সনদে তাদের কী হবে?
অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রতিষ্ঠার শুরুতে দারুল ইহসান একটি ভালো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছিলো। কিন্তু ২০০৫ খ্রিস্টাব্দ থেকে মালিকানার দ্বন্দ্বসহ বিভিন্নকারণে একাধিক গ্রুপে বিভক্ত হয়ে শাখা-প্রশাখা খোলার বিশ্ববিদ্যালয়টির সুনাম ক্ষুন্ন হওয়া শরু হয়। ২০০৬ খ্রিস্টাব্দ থেকে সনদ বিক্রি শুরু হয়। ২০০৬ খ্রিস্টাব্দ থেকেই বিশ^বিদ্যালয়টিতে মহামান্য রাষ্ট্রপতি অনুমোদিত ভাইস-চ্যাঞ্চেলর নেইা। দারুল সংক্রান্ত একাধিক মামলার একাধিক রায়ে ভিন্ন ভিন্ন আদেশ ও পর্যবেক্ষণ রয়েছে।
ঠিক কোন সন থেকে দারুল ইহসান থেকে নেয়া সনদ গ্রহণযোগ্য হবে না এমন প্রশ্নেরা জবাবে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের আইন কর্মকর্তারা বলেন, “একাধিক রায়, শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ইউজিসির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২০০৬ খ্রিস্টাব্দ থেকে নেয়া সনদ গ্রহণযোগ্য হবে না।”
অনুসন্ধানে জানা যায় অধিদপ্তরের কোনো কোনো কর্মকর্তা দারুল ইহসান সনদধারীদের পক্ষে কাজ করছেন।

 

দারুল ইহসান নিয়ে আরো প্রতিবেদন পড়ুন আগামীকাল    


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
ফল জালিয়াতি: পদে রেখেই সচিবের বিরুদ্ধে তদন্ত - dainik shiksha ফল জালিয়াতি: পদে রেখেই সচিবের বিরুদ্ধে তদন্ত শিক্ষক-কর্মচারী বদলি নীতিমালার কর্মশালা কাল - dainik shiksha শিক্ষক-কর্মচারী বদলি নীতিমালার কর্মশালা কাল দুবাইয়ে বন্যায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা - dainik shiksha দুবাইয়ে বন্যায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের বিএসসির সমমান দিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কমিটি - dainik shiksha ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের বিএসসির সমমান দিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কমিটি ৯৬ হাজার ৭৩৬ শিক্ষক নিয়োগ, আবেদন করবেন যেভাবে - dainik shiksha ৯৬ হাজার ৭৩৬ শিক্ষক নিয়োগ, আবেদন করবেন যেভাবে ফিলিস্তিনকে সমর্থনের ‘অভিযোগে’ সেরা ছাত্রীর বক্তৃতা বাতিল - dainik shiksha ফিলিস্তিনকে সমর্থনের ‘অভিযোগে’ সেরা ছাত্রীর বক্তৃতা বাতিল মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষা হতে পারে জানুয়ারিতে - dainik shiksha মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষা হতে পারে জানুয়ারিতে কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.013630151748657