ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে ভর্তির আবেদন প্রক্রিয়া পিছিয়ে আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে ১৫ অক্টোবর করা হয়েছে। এছাড়া ভর্তি পরীক্ষা আগামী ৪ থেকে ৭ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। এ বছর মেধা তালিকা থেকে ২ হাজার ২৭৫ জন এবং কোটা থেকে ১৬১জন শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। রোববার (৯ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটির সভায় এ সিন্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এস এম আব্দুল লতিফ বলেন, অনিবার্য কারণবশত ভর্তি আবেদনের তারিখ পেছানোর সিন্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এছাড়াও সংক্ষিপ্ত প্রশ্নের লিখিত পরীক্ষায় আলাদাভাবে পাশের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ২০ মার্কের লিখিত পরীক্ষায় সর্বনিম্ন ৭ পেয়ে মোট ৩২ পেলে একজন শিক্ষার্থী পাশ করবেন। আগের সিদ্ধান্তে ছিল মোট ৩২ পেলেই হত।
তিনি আরও বলেন, এছাড়া আল-ফিকহ অ্যান্ড লিগ্যাল স্টাডিজ এবং আরবি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগকে‘বি’ইউনিটে রাখার সিন্ধান্তও নেয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে আল-ফিকহ বিভাগে ভর্তিতে ৫০ শতাংশ মাদরাসা ও ৫০ শতাংশ স্কুল ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে নেয়া হবে। এছাড়া আরবি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগে ভর্তির ক্ষেত্রে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে আরবি অথবা ইসলামিক স্টাডিজ কোর্স থাকতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক হারুন উর রশিদ আসকারী বলেন, একটি বিশেষ কারণে ভর্তি আবেদনের তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে। তবে সেরা মেধাবীদের ভর্তি করাতে ইতোমধ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। আর ভর্তি পরীক্ষা সহজীকরণ ও শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি কমাতে ইউনিট কমানোসহ আন্তর্জাতিকী করণের লক্ষ্যে বিদেশি শিক্ষার্থীদের ভর্তির বিষয়ে নানা পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
প্রশাসন ভবনের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত ভর্তি পরীক্ষা কমিটির সভায় উপ-উপচার্য অধ্যাপক ড. শাহিনুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সেলিম তোহা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষা কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এবছর থেকে ১২০ নম্বরের ভর্তি পরীক্ষায় এমসিকিউ থাকবে ৬০ নম্বর। লিখিত সংক্ষিপ্ত প্রশ্নের উত্তর ২০ নম্বর এবং এসএসসি-এইচএসসিতে প্রাপ্ত জিপিএর ভিত্তিতে (২০+২০) ৪০ নম্বর। ভর্তি পরীক্ষা সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েব সাইট (www.iu.ac.bd) থেকে জানা যাবে।
প্রসঙ্গত, এর আগে কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষা কমিটি আল-ফিকহ ও আরবি বিভাগকে ধর্মতত্ত্ব ও ইসলামিক স্ট্যাডিজের সঙ্গে ‘এ’ ইউনিটের অধীনে পরীক্ষা গ্রহণের সিন্ধান্ত নেয়। পরে ওই বিভাগের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে আগের সিদ্ধান্তে ফিরতে বাধ্য হয় প্রশাসন।