বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজশিক্ষকদের আন্দোলন শুরু

নিজস্ব প্রতিবেদক |

সিলেকশন গ্রেড বহাল ও বেতন গ্রেডের সমস্যা নিরসনের দাবিতে গতকাল রোববার থেকে কালো ব্যাজ পরতে শুরু করেছেন সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা।

এই কর্মসূচি ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে। দাবি না মানলে ১১ জানুয়ারি থেকে তাঁরা লাগাতার কর্মবিরতি শুরু করবেন।

এরই মধ্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা গতকাল থেকেই কর্মবিরতি শুরু করেছেন। অন্যদিকে প্রায় একই দাবিতে আজ সোমবার থেকে দুই দিনের কর্মবিরতি শুরু করছেন সরকারি কলেজের শিক্ষকেরা।

শিক্ষকদের আন্দোলনের এমন পরিস্থিতিতে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত গতকাল সচিবালয়ে এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আবারও বলেছেন, শিক্ষকেরা না জেনেই আন্দোলন করছেন।

তিনি বলেন, তাঁরা আন্দোলন করছেন না জেনে। কী তাঁরা পাচ্ছেন, তা জানেনই না। এ বিষয়ে সমাধান দেওয়ার আর কিছু নেই বলেও মন্তব্য করেন অর্থমন্ত্রী।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের মহাসচিব এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, অর্থমন্ত্রী বারবার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষকে অপমান করে কথা বলছেন।

এরপরও শিক্ষকেরা উপযাচকের মতো হয়ে অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন। কিন্তু অর্থমন্ত্রী যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তা নতুন বেতন-কাঠামোর প্রজ্ঞাপনে নেই। এ অবস্থায় শিক্ষকেরা বাধ্য হয়েই লাগাতার কর্মবিরতিতে যাচ্ছেন। এবার দাবি পূরণ ছাড়া তাঁরা আন্দোলন থেকে সরে আসবেন না।

চট্টগ্রাম: একই দাবিতে পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির ডাকা কর্মবিরতির কারণে গতকাল বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো ক্লাস বা পরীক্ষা হয়নি। শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিও ছিল কম। কার্যত অচল ছিল বিশ্ববিদ্যালয়। গতকাল দুপুরে শিক্ষক সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত ক্লাস বর্জনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে পরীক্ষাগুলো এই কর্মসূচির আওতার বাইরে থাকবে।

কলেজ: এদিকে সরকারি কলেজশিক্ষকদের সংগঠন বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির মহাসচিব আই কে সেলিম খন্দকার বলেন, বেতন ও পদমর্যাদা সমস্যা নিরসনের দাবিতে পূর্বঘোষণা অনুযায়ী, আজ সোমবার ও আগামীকাল সরকারি কলেজের শিক্ষকেরা পরীক্ষা বর্জনসহ পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করবেন।

দাবি পূরণ না হলে ২২ জানুয়ারি সমিতির সাধারণ সভায় আরও কঠোর কর্মসূচির সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তিনি বলেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।

সাধারণত সরকারি কলেজের অধ্যাপকেরা চতুর্থ গ্রেডের কর্মকর্তা। সিলেকশন গ্রেড থাকায় এত দিন মোট অধ্যাপকদের মধ্যে ৫০ শতাংশ অধ্যাপক গ্রেড-৩-এ যেতে পারতেন। কিন্তু সিলেকশন গ্রেড বাদ দেওয়ায় এখন এই পথ বন্ধ হয়ে গেছে। এ নিয়ে কয়েক মাস ধরেই আন্দোলন করছেন কলেজশিক্ষকেরা।

প্রকৃচি-বিসিএস সমন্বয় কমিটির কর্মবিরতির ঘোষণা: সিলেকশন গ্রেড ও টাইম স্কেল পুনর্বহাল ও ক্যাডার-নন ক্যাডার বৈষম্য দূরীকরণের দাবিতে ১১ থেকে ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত দুই ঘণ্টা করে কর্মবিরতি পালনের ঘোষণা দিয়েছে প্রকৌশলী, কৃষিবিদ, চিকিৎসক, ২৬টি ক্যাডারসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা। এসব পেশাজীবীদের মোর্চা প্রকৃচি-বিসিএস সমন্বয় কমিটির ডাকে দুপুর ১২টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত এই কর্মবিরতি হবে।

গতকাল কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে সমন্বয় কমিটির স্টিয়ারিং কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত হয় বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
হাইকোর্টের আদেশ পেলে আইনি লড়াইয়ে যাবে বুয়েট: উপ-উপাচার্য - dainik shiksha হাইকোর্টের আদেশ পেলে আইনি লড়াইয়ে যাবে বুয়েট: উপ-উপাচার্য প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ: তৃতীয় ধাপের ফল প্রকাশ হতে পারে আগামী সপ্তাহে - dainik shiksha প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ: তৃতীয় ধাপের ফল প্রকাশ হতে পারে আগামী সপ্তাহে ভূমির জটিলতা সমাধানে ভূমিকা রাখবেন নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা - dainik shiksha ভূমির জটিলতা সমাধানে ভূমিকা রাখবেন নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা সর্বজনীন শিক্ষক বদলি চালু হোক - dainik shiksha সর্বজনীন শিক্ষক বদলি চালু হোক ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের বিএসসির সমমান দিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কমিটি - dainik shiksha ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের বিএসসির সমমান দিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কমিটি রায় জালিয়াতি করে পদোন্নতি: শিক্ষা কর্মকর্তা গ্রেফতার - dainik shiksha রায় জালিয়াতি করে পদোন্নতি: শিক্ষা কর্মকর্তা গ্রেফতার কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0033390522003174