নওগাঁ পৌরসভায় প্রশাসনের বিরুদ্ধে ভোট কারচুপি করার অভিযোগে ভোট গণনা স্থগিত করার দাবিতে ছাত্রলীগ হামলা চালিয়েছে। এ সময় ছাত্রলীগের হামলায় জেলা প্রশাসক সম্মেলন কেন্দ্রে অফিস ও জানালা ভাংচুর করা হয়। হামলায় এক জন আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি শান্ত করতে জেলা প্রশাসক অফিস চত্ত্বরে অতিরিক্ত পুলিশ, বিজিবি, র্যাব মোতায়ন করা হয়। আহতকে উদ্ধার করে নওগাঁ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জানা গেছে, নওগাঁ পৌরসভায় চারজন মেয়র প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এরা হলেন আওয়ামী লীগের দেওয়ান ছেকার আহমেদ শিষাণ, বিএনপির নজমুল হক সনি, স্বতন্ত্র আবদুল ওয়াহাব, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর শহিদুল ইসলাম।
বুধবার বিকেল ৬টা থেকে ভোট শান্তিপূর্ণ ভাবে জেলা প্রশাসক সম্মেলক কক্ষে ভোট গণনা শুরু হয়। রাত ৯ টা পর্যন্ত ৪০ টি কেন্দ্রের মধ্যে ৩৮ টি কেন্দ্রের ফলাফল ঘোষণা করা হয়। ঘোষনায় ভোটে বিএনপি প্রার্থী এগিয়ে থাকে। এরপর হঠাৎ করে জেলা ছাত্রলীগের নেতৃত্ববৃন্দ বিএনপি প্রার্থীর পক্ষে প্রশাসনের কাজ করার অভিযোগ তুলে ভোট গণণা স্থগিত রাখার দাবি করে। এরপর কিছু বুঝে উঠার আগেই জেলা প্রশাসক সম্মেলন কেন্দ্রের চেয়ার, টেবিল, ল্যাপটপ, প্রিন্টার, স্ক্যানার, মাইক্রোফোন, জানালার কাঁচ ভাংচুর করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ, বিজিবি, র্যাব মোতায়ন করা হয়।
কেন্দ্রীয় বিএনপি ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক লে: কর্ণেল (অব:) আব্দুল লতিফ খান জানান, ভোটের রেজাল্ট পাল্টানোর জন্যে জেলা প্রশাসক, অতিরিক্ত প্রশাসকের ওপর হামলা চালিয়েছে সরকার দলীয় ছাত্রলীগের নেতৃত্বে বৃন্দ। এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান তিনি।
জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, প্রশাসনিক নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হওয়ার সুযোগে সরকার দলীয় সন্ত্রাসীরা প্রায় ১০ মিনিট ধরে এই হামলা চালিয়ে যায়। এ সময় প্রশাসন নীরব ভূমিকা পালন করায় একজনকেও গ্রেফতার করতে পারেনি।
এ ব্যাপারে পুলিশ সুপার মোজাম্মেল হক জানান, ঘটনার তাৎক্ষনিক সংবাদ পেয়ে হামলাকারিদের ধাওয়া করা হয়। তবে কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি।
জেলা প্রশাসক ড. আমিনুর রহমান জানান, এ ঘটনাটি ক্ষতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।