বগুড়ায় বিদ্যালয়ের সভাপতি হতে না পেরে এবার দুই শিক্ষককে মারপিট করেছেন যুবলীগ নেতা।
শুক্রবার সকালে জেলার শাজাহানপুরের বেলপুকুর উচ্চ বিদ্যালয়ে বই বিতরণের আগে যুবলীগ নেতা আল আমিন শিক্ষার্থীদের সামনে দুই শিক্ষককে মারপিট করেন।
এতে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের মাঝে প্রচন্ড ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করা হয়েছে বলে জানান বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খন্দকার ওয়াদুদ হোসেন।
তবে যুবলীগ নেতা শিক্ষককে মারপিটের কথা অস্বীকার করেছেন।এই নিয়ে গত দু’বছরে এই যুবলীগ নেতা প্রধান শিক্ষকসহ চার শিক্ষক ও এক অফিস সহকারিকে মারপিট করলেন।
খন্দকার ওয়াদুদ হোসেন অভিযোগ করেন, আল-আমিন মাঝিরা ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক। স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হতে না পেরে ক্ষুব্ধ। এ জন্য তিনি প্রধান শিক্ষকসহ কয়েকজন শিক্ষককে দায়ী করেন।
ওই প্রভাবশালী নেতার ভয়ে শিক্ষকরা লিখিত অভিযোগ দেবার সাহস পাচ্ছেন না।শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে স্কুলে বই বিতরণ উৎসবের প্রস্তুতি চলছিল।
এ সময় যুবলীগ নেতা আল-আমিন স্কুলে এসে ছাত্রছাত্রীদের সামনে সহকারি শিক্ষক (গণিত) জাহাঙ্গীর আলম ও সহকারি শিক্ষক (মৌলভী) রোকন উদ্দিন খানকে মারপিট করেন।
বৃহস্পতিবার বেলা পৌণে একটার দিকে তিনি সহকারি প্রধান শিক্ষক ফজলুল হককেও লাঞ্ছিত করেন।
এর আগে গত ২০১৩ সালের অক্টোবরে যুবলীগ নেতা একই কারণে প্রধান শিক্ষক খন্দকার ওয়াদুদ হোসেন, সহকারি শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম ও অফিস সহকারি শাজাহান আলীকে বেদম মারপিট করেছিলেন।
প্রধান শিক্ষক খন্দকার ওয়াদুদ হোসেন জানান, বিষয়টি উপজেলা চেয়ারম্যান সরকার বাদল ও নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রুবায়েত খানকে মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে। তারা তাকে লিখিতভাবে অভিযোগ দিতে পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মাঝিরা ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আল-আমিনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, শুক্রবার সকালে স্কুলে গেলেও কোনো শিক্ষককে তিনি মারধর করেননি। এটা তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। তার ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার চেষ্টা চলছে।