গত ৩১ ডিসেম্বর প্রকাশিত ফল অনুযায়ী, প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় সারাদেশের শত শত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শতভাগ শিক্ষার্থী পাস করেছে। এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জিপিএ-৫ এর ছড়াছড়ি। কিন্তু এর মাঝেও ব্যতিক্রম ঝালকাঠি সদর উপজেলার একটি বিদ্যালয়। এখানে শতভাগ শিক্ষার্থী ফেল করেছে। ইতোমধ্যে এ বিদ্যালয়ের পাঠদানের মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
ঝালকাঠি জেলা সদরের প্রাণকেন্দ্রে ১৯৬৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ১০৭ নং সৈয়াদুন্নেছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এ বছর প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় এ বিদ্যালয়ের মাত্র নয়জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়। এর মধ্যে সবাই ফেল করেছে।
আর শিক্ষার্থীদের এমন ফলাফলের পর অভিভাবকরা বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অব্যবস্থাপনা, বিদ্যালয়ে অনুপস্থিতি ও পাঠদানে তাদের আন্তরিকতার অভাবকে দায়ী করছেন।
বিদ্যালয়ে গিয়েও অভিভাবকদের এমন অভিযোগের সত্যতা মিলেছে। বিদ্যালয়ে মোট ৪০ জন শিক্ষার্থী থাকলেও উপস্থিত ছিল মাত্র কয়েকজন। আর চারজন শিক্ষকের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মাত্র একজন।
বিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষার্থী পাস না করার কারণ জানতে চাইলে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাফরীন ফারজানা জানান, বিগত বছরগুলোতে ফলাফল ভাল হলেও এবছরই ফলাফল খারাপ হয়েছে।
বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বেশিরভাগই শিশুশ্রমিক উল্লেখ করে তিনি খারাপ ফলাফলের জন্য শিক্ষার্থীদেরকেই দায়ী করেছেন।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস থেকে জানা গেছে, এ বছর ঝালকাঠিতে প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় ৫৭৫টি বিদ্যালয়ের ১২ হাজার ৩৮১ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ৮৫৩ জন শিক্ষার্থী জিপিএ ৫ পেয়েছে। এ জেলায় পাসের হার ৯৮.৭৩ ভাগ।