প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় উত্তরপত্রে নম্বর বৃদ্ধির জালিয়াতি মামলার তদন্তে জেলা ও উপজেলা শিক্ষা অফিসারসহ একাধিক কর্মচারীর সরাসরি সম্পৃক্ততার প্রমাণ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। চার্জশিটে আসামিদের মধ্যে রাজশাহী জেলার প্রাক্তন প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ও বর্তমানে চট্টগ্রাম জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আবুল কাশেম ও রাজশাহী জেলার বোয়ানিয়া থানার শিক্ষা অফিসার রাখী চক্রবর্তীসহ একাধিক কর্মচারীর নাম রয়েছে।
শিগগরিই তাদের আসামি করে চার্জশিট দেওয়ার জন্য তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে যাচ্ছেন তদন্ত কর্মকর্তা ও রাজশাহী সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের দুদকের সহকারী পরিচালক মো. রশেদুল ইসলাম। দুদকের উর্ধ্বতন একটি সূত্র এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে।
এর ফলে দুদকের চার্জশিটে আসামির সংখ্যা যেমন বাড়বে, তেমনি বাড়বে পরীক্ষায় নম্বর জালিয়াতির মাধ্যমে বৃত্তিপ্রাপ্তের সংখ্যাও। জালিয়াতির মাধ্যমে প্রাপ্ত বৃত্তির সংখ্যা ৪০ থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ৬৭ হতে পারে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে দুদকের উর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা দৈনিক শিক্ষাকে বলেন, ২০১৫ সালে রাজশাহী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার ফলাফলের সফটওয়্যারে এন্ট্রিতে মোট ৬৭টি রোল নম্বরে গরমিলের প্রমাণ মিলেছে। এর দায় রাজশাহী সদর জেলার বোয়ানিয়া থানার শিক্ষা অফিসার রাখী চক্রবর্তী ও সহকারী কাম কম্পিউটার মূদ্রাক্ষরিক মোসা. সোনিয়া রওশনের ওপর সরাসরি বর্তায়। কারণ তারাই সফটওয়্যারে এন্ট্রির কাজ করেছেন।
তিনি আরো বলেন, অন্যদিকে বোয়ালিয়া থানার সমাপনী পরীক্ষা কমিটির সদস্যসচিব ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আবুল কাশেমের কন্যা নিশাত নওরিন তৃষাসহ উত্তরপত্রের প্রাপ্ত নম্বর এবং সফটওয়্যারে এন্ট্রিতে মোট ৬৭টি রোল নম্বরে একাধিক পত্রে নম্বর বাড়ানো বা কোনো কোনো ক্ষেত্রে আবুল কাশেমের সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়া গেছে।