তীব্র ভূমিকম্পে দেশের অন্যান্য এলাকার সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতির চেয়ে পুরান ঢাকার পুরোনো বাড়ী ও এগুলোর বাসিন্দারা যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির সম্মূখীন হবে তা সহজেই অনুমান করা যায়।
পুরান ঢাকার পুরোনো বাড়ী ও বাড়ীওয়ালাদের জন্য মুক্তচিন্তক মো. নজরুল ইসলাম খান (এন আই খান) সরকার ও সংশ্লিষ্টদের কয়েকটি পরামর্শ দিয়েছেন।
বাংলাদেশের ভূমি ব্যবস্থাপনা ও ভূমি আইনের ওপর গ্রন্থপ্রণেতা এন আই খান তাঁর ফেসবুকে লিখেছেন, আজ (সোমবার) ভোর রাতের ভূমিকম্পে ঢাকার একাধিক বাড়ী হেলে পড়েছে মর্মে খবর বেরিয়েছে। যদি ভূমিকম্পের ইপিসেন্টার ঢাকার নীচে হয় তবে কী হতে পারে অনুমান করা যায়? মাত্রা যদি সাতের বেশি হয় তাহলে কী হতে পারে? পুরোনো ঢাকার পুরোনো বাড়ীর বাসিন্দাদের কী হবে?
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিকে জনকল্যাণে কাজে লাগানোর মাধ্যমে দেশে বিপ্লব ঘটানোর নেপথ্য নায়ক এন আই খান লিখেছেন, “মিন্টু রোডে কেউ কেউ ব্রিটিশ আমলের পুরোনো নড়বড়ে বাড়ীতে থাকেন, তারাই দেশ চালান।
দূর্ঘটনার সময় এঁরা নেতৃত্ব দিবেন। ভূমিকম্পে এদের কিছু হলে কারা নেতৃত্ব দিবেন?
এমন কিছু করতে হবে যেন পুরোনো বাড়ীঘর সহজে ভেঙে নতুন ঘর তৈরি করতে পারে। পুরোনো বাড়ীতে রেট্রফিট করা যায়।
“মিন্টুরোডে যারা থাকেন তাদেরকে আগে বুঝতে হবে নিজেদের জন্য, পুরোনো ঢাকার পুরোনো ভবনের জন্য।
আমার মনে হয়-বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে একটি ফাইনানশিয়াল প্রডাক্ট তৈরি করতে পারেন।”
তিনি লিখেছেন, সকল ব্যাংক বা বিশেষ ব্যাংককে দায়িত্ব দিতে হবে। একই সাথে পূর্ত মন্ত্রণালয় থেকে নির্দশনা দিতে হবে পুরোনো বাড়ীর মালিকরা এই সুযোগ নিতে বাধ্য।
১। ৫% সুদে বাড়ী নির্মাণ ঋণ দিতে হবে। বাড়ী ছাড়া কোন কোল্যাটারাল দরকার হবে না।
২। ঋনের সুযোগ নিয়ে বাড়ী নির্মাণ না করা হলে সরকারি দায়িত্বে বাড়ী করা হবে।
৩। এজন্য কঠোর আইন দরকার হলে তা-ও করতে হবে।
তিনি লিখেছেন, “সরকারকে জনকল্যাণে কঠোর হতে হয়। শুধু ভয় দিয়ে শাসন হয় না-টাইরানি (tyranny) হয়। শুধু ভক্তি দিয়েও শাসন হয় না-নৈরাজ্য(anarchy) হয়। সময়, স্থান ও পাত্র অনুযায়ী উপযুক্ত মিশ্রণ দরকার।”