৫ দফা দাবিতে সরকারি কলেজের শিক্ষকরা কাল (সোমবার) থেকে পরীক্ষা বর্জনসহ দু’দিন কর্মবিরতি পালন করবেন।
বিএনপি নেতা তরিকুল ইসলামের শালিকা নাছরিন বেগম নিয়ন্ত্রিত বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতি এ কর্মসূচির ডাক দিয়েছে। অবসরে গেলেও নাছরিন এই সমিতির সভাপতির পদ আকড়ে ধরে রয়েছেন কয়েকমাস যাবত।
কর্মবিরতির কর্মসূচি ঘোষণা বিষয়ে সমিতির মহাসচিব আই কে সেলিম উল্লাহ খন্দকার সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা গত ২২ ডিসেম্বর এ কর্মসূচি দিয়ে অপেক্ষা করছিলাম। আমাদের প্রত্যাশা ছিল, সরকারের পক্ষে আমাদের সঙ্গে আলোচনা করা হবে। কিন্তু দাবি পূরণের বিষয়ে আজ পর্যন্ত কোনো ইতিবাচক সাড়া পাইনি। তাই বাধ্য হয়েই আমাদের কর্মসূচিতে যেতে হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা ৪ ও ৫ জানুয়ারি সব সরকারি কলেজে পরীক্ষা বর্জনসহ পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করব।’
সরকারি কলেজশিক্ষকদের ৫ দফা দাবি হচ্ছে : ১. পঞ্চম গ্রেডের সহযোগী অধ্যাপকদের পদোন্নতি দিয়ে অধ্যাপক করার সময়ে সরাসরি ৩য় গ্রেডে উন্নীত করতে হবে। বর্তমানে চতুর্থ গ্রেডে দেয়া হয়। প্রশাসনসহ আর কোনো ক্যাডারে এটা করা হয় না।
২. নায়েমের (জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমি) মহাপরিচালক, পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) ও বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানের পদ এবং জেলা সদরের অধ্যক্ষ পদ ১ নম্বর গ্রেডে উন্নীত করা। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের (মাউশি) পরিচালক, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর, নায়েম, পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদফতর এবং অনার্স-মাস্টার্স কলেজের উপাধ্যক্ষর পদ, বোর্ড সচিব ও এনসিটিবির সদস্যের পদ ২ নম্বর গ্রেডে উন্নীত করা। প্রতিটি অনার্স-মাস্টার্স কলেজে একটি করে ২য় গ্রেডের সিনিয়র অধ্যাপকের পদ সৃষ্টি।
৩. ব্যাচভিত্তিক পদোন্নতি দিতে হবে।
৪. বিকল্প ব্যবস্থা না হওয়া পর্যন্ত সিলেকশন গ্রেড ও টাইম স্কেল বহাল রাখতে হবে এবং ৫. প্রজাতন্ত্রের অন্যান্য ক্যাডারের মতো শিক্ষা ক্যাডারকে সমান সুযোগ দিতে হবে।
দেশে বর্তমানে ৩০৫টি সরকারি কলেজ আছে।
বি সি এস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তারা এসব কলেজসহ মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর, বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ডসহ সরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছেন।