প্রধান শিক্ষককে পেটালো এমপি বাবলা

নিজস্ব প্রতিবেদক |

Mp Bablaসদলবলে বিদ্যালয়ে ঢুকে প্রধান শিক্ষককে মারধরের অভিযোগ উঠেছে ঢাকায় জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য সৈয়দ আবু হোসেন বাবলার বিরুদ্ধে।

শ্যামপুর থানার দোলাইরপাড় স্কুল ও কলেজের পরিচালনা পর্ষদ গঠন নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে সোমবার দুপুরে তিনি প্রধান শিক্ষককে মারধর করেন বলে শিক্ষকরা জানান।

ওই এলাকায় সাবেক সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগের সানজিদা খানমও বর্তমান সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ তুলে বলেছেন, হামলার সময় সবাইকে বিভ্রান্ত করতে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেয় বাবলার দলবল।

তবে বাবলা তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, ওই বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদ গঠন নিয়ে প্রশ্ন উঠায় তিনি প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলতে গিয়েছিলেন।

জাতীয় পার্টির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বাবলার সঙ্গে ওই বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলামও ছিলেন। তিনিও শিক্ষককে মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেন।

স্থানীয়রা জানান, দোলাইরপাড় স্কুল ও কলেজের পরিচালনা পর্ষদে সভাপতি পদে আছেন সানজিদা খানম। এখন ওই পদটি পেতে চাইছেন বাবলা।

ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা জানান, বেলা সোয়া ১২টার দিকে প্রধান শিক্ষক মো. আতাউর রহমানের কক্ষে ঢোকেন সংসদ সদস্য বাবলা।

প্রধান শিক্ষক আতাউর অভিযোগ বলেন, “এমপি (বাবলা) দস্যুর মতো দলবল নিয়ে আমার রুমে প্রবেশ করে। এরপর তার উপস্থিতিতে ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলাম আমার কলার চেপে ধরেন। অন্যরা আমার মাথায়, মুখে, ঘাড়ে কিল-ঘুষি মারতে থাকে।”তবে সংসদ সদস্য বাবলা মারধর করেছে কি না- জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক কোনো কথা না বলে নীরব হয়ে যান।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত সহকারী প্রধান শিক্ষক শামীম আরা পারভীন বলেছেন,সংসদ সদস্য নিজেই প্রধান শিক্ষক আতাউরের কলার চেপে ধরেছিলেন। তিনি ববলেন, “প্রধান শিক্ষকের কলার চেপে ধরেছিলেন স্থানীয় সংসদ আবু হোসেন বাবলা। ওই সময় তার পাশে ছিলেন ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলাম।

“এই ঘটনাটি দেখা ফেলার পরই আমি দৌড় দিয়ে পালানোর চেষ্টা করলে তাদের লোকজন আমাকে আমার অফিসে আটকে রাখে।”

প্রধান শিক্ষকের উপর চড়াও হওয়ার সময় বাবলার সমর্থক অর্ধশতাধিক যুবক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির সামনে স্লোগান দিচ্ছিল বলে জানান শামীম আরা।

সানজিদা খানম বলেন, “বাবলা ও তার সমর্থকরা ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষককে মারধর করে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। তারা স্যাবেটাজ করার জন্য জয় বাংলা বলে স্লোগানও দিচ্ছিল।“ঘটনাটি জানতে পেরে পুলিশ নিয়ে সেখানে গিয়ে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় ওই শিক্ষককে (মুক্ত করি।)”

শ্যামপুর থানার ওসি আবদুর রাজ্জাক বলেন, “স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির বিরোধের জের ধরে সামান্য ঝামেলা হয়েছিল। এরপর পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।”

এই বিষয়ে জানতে চাইলে বাবলা বলেন, “শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজিং কমিটি নিয়ে কথা বলতে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান শিক্ষকের কক্ষে গিয়েছিলাম। কাউকে মারধরের অভিযোগ সত্য না।’ রাতের আঁধারে’নতুন পরিচালনা পর্ষদ গঠন করা হয়েছে দাবি করে সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলাম বলেন, “বিষয়টির প্রতিকার চেয়ে প্রধান শিক্ষকের কাছে গিয়েছিলাম। কোনো মারধরের ঘটনা ঘটেনি।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
প্রাথমিকের শিক্ষকদের ফের অনলাইনে বদলির সুযোগ - dainik shiksha প্রাথমিকের শিক্ষকদের ফের অনলাইনে বদলির সুযোগ তীব্র তাপপ্রবাহের ভেতরই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে রোববার - dainik shiksha তীব্র তাপপ্রবাহের ভেতরই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে রোববার দেশে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি - dainik shiksha দেশে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি নতুন শিক্ষাক্রম ও কিছু কথা - dainik shiksha নতুন শিক্ষাক্রম ও কিছু কথা কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে স্কুলে দুই শিফটের ক্লাস চালু রাখার সভা রোববার - dainik shiksha স্কুলে দুই শিফটের ক্লাস চালু রাখার সভা রোববার শিক্ষা কর্মকর্তার আইডি ভাড়া নিয়ে প্রধান শিক্ষকের বাণিজ্য - dainik shiksha শিক্ষা কর্মকর্তার আইডি ভাড়া নিয়ে প্রধান শিক্ষকের বাণিজ্য শিক্ষকদের অবসর সুবিধা সহজে পেতে কমিটি গঠন হচ্ছে - dainik shiksha শিক্ষকদের অবসর সুবিধা সহজে পেতে কমিটি গঠন হচ্ছে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে নিষিদ্ধ, মৌলবাদী সংগঠনের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিন - dainik shiksha নিষিদ্ধ, মৌলবাদী সংগঠনের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিন please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0046570301055908