নিষিদ্ধ ঘোষিত নোট ও গাইড বই প্রকাশনীর কাছ থেকে পাওয়া টাকার ভাগাভাগি নিয়ে শিক্ষকদের দু’গ্রুপের মধ্যে বিরোধ প্রকাশ্য রূপ নিয়েছে। বেশি টাকা পেয়ে একটি প্রকাশনীর নোট বই কিনতে শিক্ষার্থীদের বাধ্য করাতে চান প্রধান শিক্ষক। এমন অনৈতিক কাজকে কেন্দ্র করে তৈরি হওয়া বিরোধে সহকারী শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের ক্লাস বর্জন, হামলা, ভাঙচুর, প্রধান শিক্ষককে মারধর এবং অফিস কক্ষে অবরুদ্ধ করার ঘটনা ঘটেছে।
বৃহস্পতিবার জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার ডোয়াইল ইউনিয়নের চাপারকোনা মহেশ চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
বৃহস্পতিবার সকালে বিদ্যালয়ে প্রথম ক্লাস চলাকালে প্রধান শিক্ষক প্রতিটি ক্লাসে গিয়ে লেকচার পাবলিকেশন্স গাইড বই সাজেশন কেনার জন্য লিফলেট বিতরণ করেন। এতে সহকারী শিক্ষকরা ক্ষুব্ধ হয়ে ক্লাস বর্জন করেন। এতে সমর্থন দেয় শিক্ষার্থীরাও। এরপর শিক্ষার্থীরা প্রধান শিক্ষককের পদত্যাগ দাবি করে দফায় দফায় বিক্ষোভ মিছিল করতে থাকে। তাদের বিক্ষোভ মিছিল চলাকালে অফিস কক্ষে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। এ সময় প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলামকে মারধর করে এবং নিচ তলা গেটে তালা ঝুলিয়ে তাকে অবরুদ্ধ করে রাখে শিক্ষার্থীরা।
পরে পুলিশ গিয়ে অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলামকে উদ্ধার করে। এ ঘটনা জানতে চাইলে পরস্পর বিরোধী বক্তব্য দেন প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকরা।
বাংলা বিষয়ক সহকারী শিক্ষিকা জেবুন্নাহার বলেন, প্রধান শিক্ষক লেকচার পাবলিকেশন্স থেকে মোটা অংক হাতিয়ে নিয়ে লেকচার গাইড বই সাজেশন চালিয়ে যেতে চায়। এর জন্য ক্লাস বর্জন করে তার প্রতিবাদ জানিয়েছি।
প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম বলেন, শিক্ষার্থীদের উস্কিয়ে দিয়েছে সহকারী শিক্ষকরা। এর ফলে তাকে লাঞ্ছিতসহ হামলা ভাঙচুর করেছে শিক্ষার্থীরা।