ফাঁস হওয়া প্রশ্ন দিয়ে পরীক্ষার ফল হয়তো ভালো হয়, কিন্তু ভবিষ্যৎ অন্ধকার। কেননা নিজের যোগ্যতায় ‘বি’ গ্রেড পেলেও এটা তার খাটানো মেধা।
আর ফাঁস হওয়া প্রশ্ন দিয়ে পরীক্ষা দেওয়া মানে, ধার করা বুদ্ধি দিয়ে পাস করা। তবে প্রত্যেক ছাত্র-ছাত্রীকে ভাবতে হবে অন্যায় না করে মাথা উঁচু করে চলার মধ্যে একধরনের গর্ব আছে। নিজের চাবিয়ে খাওয়া খাবারে যতটা স্বাদ পাওয়া যায়, অন্যের চাবানো খাবারে ততটা স্বাদ পাওয়া যায় না। গুটিকয়েক অসৎ লোকের কাছে কী করে রাষ্ট্র আমাদের সন্তানের ভবিষ্যৎ তুলে দিচ্ছে। কত বড় বড় সমস্যা সরকার সমাধান করে। তবে কেন প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা সমাধান করছে না? এটা আমরা বুঝতে পারছি না। অথচ খুব সহজে এটা বন্ধ করা সম্ভব। শুধু শিক্ষা মন্ত্রণালয় জোর গলায় বলুক আজ থেকে ভবিষ্যতে কোনো প্রশ্নপত্র ফাঁস হবে না। হলে তার জন্য কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।
এবং কোনো ছাপাখানা থেকে প্রশ্ন ফাঁস হলে তার সব আয়-রোজগার বন্ধ করে দেওয়া হবে। সরকারের এ ঘোষণায় ম্যাজিকের মতো কাজ হবে বলে আমার বিশ্বাস। আমরা আর চাই না কোনো শিশু ফাঁস হওয়া প্রশ্ন দিয়ে সমাজে চোরের মতো চলুক। আমরা চাই আমাদের সন্তান মাথা উঁচু করে চলুক। এ জন্য কোনো অসৎ শিক্ষক, দায়িত্বহীন কোচিংয়ের কাছে যেন আমাদের সন্তানরাও না যায়, এ ব্যাপারে সব অভিভাবককে সতর্ক হতে হবে। একজন অপরাধী তো অপরাধী, তাকে আইনের মাধ্যমে শাস্তি দিলে হয়তো এটা বন্ধ করা সম্ভব।
সাবিনা সিদ্দিকী শিবা
ফতুল্লা, নারায়ণগঞ্জ।