আগামী বছরের মধ্যে সাড়ে ঊনিশ হাজার ভবন নির্মাণ শেষ হবে: শিক্ষামন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক |

শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের আরো সততা ও দক্ষতার সাথে কাজ সম্পাদন করতে হবে। আগামী মে মাসের মধ্যে এ অর্থবছরের সকল কাজ সম্পন্ন করতে হবে। এক্ষেত্রে কোন গাফিলতি করা যাবে না। শিক্ষা অবকাঠামো নির্মানে কোন দুর্নীতি সহ্য করা হবে না। এক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি নিয়েছি আমরা।

শিক্ষামন্ত্রী আজ (১২ আগস্ট) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের উন্নয়ন কাজ সম্পর্কিত মাঠ পর্যায়ের প্রকৌশলীদের সাথে মতবিনিময় এবং নবনিয়োগপ্রাপ্ত প্রকৌশলীদের মাঝে মটর সাইকেল বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, ২০০৯ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার গঠনের পর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর (ইইডি) সারাদেশে অবকাঠামো নির্মানে ব্যাপক কার্যক্রম গ্রহন করে। এ উন্নয়ন কার্যক্রম অব্যাহত আছে এবং নতুন নতুন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। তিনি বলেন, গত সাড়ে আট বছরে শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় আড়াই গুন বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে নতুন অবকাঠামো নির্মাণের প্রয়োজনীয়তাও অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ডের বর্ণনা দিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, মাধ্যমিক পর্যায়ে প্রথম প্রকল্পের আওতায় ৭ হাজার ৮৫১টি একাডেমিক ভবন নির্মান করা হয়েছে এবং আরো এক হাজার ৫১টি ভবনের নির্মান কাজ চলছে। ৪ হাজার ৬৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৩২৩টি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে উন্নয়ন প্রকল্প শুরু হবে। ৩ হাজার ২২৩টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের উর্দ্ধমুখী সম্প্রসারণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে।

তিনি বলেন, প্রায় এক হাজার ৫০০ কলেজ ভবন নির্মান করা হয়েছে। আরো এক হাজার ১৭০টি ভবনের নির্মান কাজ চলছে। ২০০টি সরকারি কলেজে বিজ্ঞান শিক্ষার সম্প্রসারণে এক হাজার ৮০৫ কোটি টাকার কাজ এ মাসেই শুরু হচ্ছে। ২ হাজার ২৭৪ কোটি টাকা ব্যয়ে কলেজগুলোতে ছাত্রী হোস্টেল নির্মান করা হবে। মাদরাসা শিক্ষার উন্নয়নে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এক হাজার ১৮৩টি ভবন নির্মান করা হয়েছে । আরো ২ হাজার মাদরাসা ভবন নির্মান প্রক্রিয়াধীন আছে।

তিনি বলেন, চলমান উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ১৮৪টি একাডেমিক ও আবাসিক ভবন, শিক্ষার্থী হল ও গবেষণা ভবন নির্মান করা হচ্ছে।

শিক্ষামন্ত্রী আরো বলেন, আগামী বছরের মধ্যে মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মাদরাসা, কলেজ ও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সাড়ে উনিশ হাজার ভবন নির্মাণ সম্পন্ন হবে।

শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী দেওয়ান মোহাম্মদ হানজালার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইন, কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আলমগীর, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. মহিউদ্দিন খান, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর ড. এস এম ওয়াহিদুজ্জামান, ইইডি’র পরিচালক খালেদা আক্তার এবং আইডিইবি’র প্রচার ও গনসংযোগ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম বক্তৃতা করেন।

পরে মন্ত্রী ইইডি’র নবনিয়োগপ্রাপ্ত ৩০০ প্রকৌশলীর মাঝে আনুষ্ঠানিকভাবে মটর সাইকেলের চাবি হস্তান্তর করেন।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
এমপিও কোড পেলো আরো ১৪ স্কুল-কলেজ - dainik shiksha এমপিও কোড পেলো আরো ১৪ স্কুল-কলেজ নারীদের আইসিটিতে দক্ষ হতে হবে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী - dainik shiksha নারীদের আইসিটিতে দক্ষ হতে হবে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী হিটস্ট্রোকে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র তূর্যের মৃত্যু - dainik shiksha হিটস্ট্রোকে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র তূর্যের মৃত্যু পরীক্ষার নাম এসএসসিই থাকবে, ওয়েটেজ ৫০ শতাংশ - dainik shiksha পরীক্ষার নাম এসএসসিই থাকবে, ওয়েটেজ ৫০ শতাংশ ফরেনসিক অডিটে ফাঁসছেন দশ হাজার জাল সনদধারী - dainik shiksha ফরেনসিক অডিটে ফাঁসছেন দশ হাজার জাল সনদধারী কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের পিএইচডি ফেলোশিপ - dainik shiksha প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের পিএইচডি ফেলোশিপ সাংবাদিকদের ঘুষ বিষয়ক ভাইরাল ভিডিও, ইরাব কোনো বিবৃতি দেয়নি - dainik shiksha সাংবাদিকদের ঘুষ বিষয়ক ভাইরাল ভিডিও, ইরাব কোনো বিবৃতি দেয়নি জড়িত মনে হলে চেয়ারম্যানও গ্রেফতার: ডিবির হারুন - dainik shiksha জড়িত মনে হলে চেয়ারম্যানও গ্রেফতার: ডিবির হারুন সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা - dainik shiksha সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0024678707122803