আত্তীকৃত কলেজ শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের সঙ্গে এফটিসি কোর্স নায়েমের বাইরে করানোর পরিকল্পনার কোনো সম্পর্ক নেই বলে জানিয়েছেন জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমির (নায়েম) মহাপরিচালক অধ্যাপক মোঃ হামিদুল হক।
বি সি এস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারভুক্ত শিক্ষকদের জন্য ফাউন্ডেশন ট্রেনিং কোর্স (এফটিসি) বাধ্যতামূলক। সম্প্রতি বির্তক উঠেছে এই কোর্সটি নায়েমের বাইরে করানো নিয়ে।
নায়েম সূত্রে জানা যায়, বছরের পর বছর পার হলেও জটের কারণে সময়মতো সবাইকে কোর্সটি করানো যাচ্ছেনা। তাই জট কমাতে ঢাকা টিটিসিতে অথবা আঞ্চলিক প্রশিক্ষণ কোন্দ্রে এফটিসি কোর্স করানোর পরিকল্পনার কথা ভাবছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও নায়েম। আগামী ৪ জুলাই মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবের (কলেজ) সভাপতিত্বে নায়েমে অনুষ্ঠিত হবে এ সংক্রান্ত এক সভা। আর ওই সভায় সিদ্ধান্ত হয়ে যাবে এফটিসি কোর্স আঞ্চলিক অফিসে এবং টিটিসিতেও করানোর। আর এ নিয়েই বিতর্ক চলছে সরাসরি বিসিএস পরীক্ষা দিয়ে সরকারি কলেজে যোগদান করা শিক্ষকদের মধ্যে। তাদের মধ্যে কেউ কেউ মনে করছেন এটা আত্তীকৃত শিক্ষকদের দূরভিসন্ধির অংশ।
এ পরিস্থিতিতে আজ বুধবার [২৮ জুন] বিকেলে দৈনিক শিক্ষার পক্ষ থেকে জানতে চাওয়া হয় নায়েমের মহাপরিচালকের মতামত। তিনি টেলিফোনে দৈনিক শিক্ষাকে বলেন, “এফটিসি করানো সম্ভব হয়নি দুই হাজারের বেশি কিন্তু তিন হাজারের কম শিক্ষককে। প্রকৃত সংখ্যা জানতে আজেই চাহিদা দিয়েছি মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরকে”।
“জট কমাতে বিভিন্ন বিকল্প চিন্তা করছে মন্ত্রণালয়। তবে, নায়েমের বাইরে যাক তা আমিও চাইনা।”
আপনি নিজে আত্তীকৃত শিক্ষক তাই আপনি চান কোর্সটি নায়েমের বাইরেও বিস্তৃত হোক, ভবিষ্যতে যাতে নব্য জাতীয়কৃত শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দিতে কোন জট তৈরি না হয়—দৈনিক শিক্ষার এমন প্রশ্নের জবাবে মহাপরিচালক হেসে বলেন “এটা ঠিক নয়”। “স্রেফ গুজব, না বুঝে, শুধু সমালোচনার জন্যই হয়তো বলছেন তারা।”
তিনি বলেন, “আত্তীকৃত/জাতীয়কৃতর সঙ্গে এফটিসি কোর্স নায়েমের বাইরে করানোর কোনো সম্পর্ক নেই।”
এদিকে বি সি এস সাধারণ শিক্ষা সমিতির সভাপতি অধ্যাপক আই কে সেলিম উল্লাহ খোন্দকার আজ বুধবার (২৮ জুন) শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের সঙ্গে সাক্ষাত করে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন “এফটিসি কোর্স নায়েমেই হতে হবে। কোনো অজুহাতেই শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তাদের জন্য বাধ্যতামূলক প্রশিক্ষণ কোর্সটি নায়েমের বাইরে টিটিসি বা এইচএসটিটিআইতে নেয়া যাবেনা।