ছাত্র রাজনীতি তথা রাজনীতিতে ‘আদর্শ’ শব্দটির খুব গুরুত্ব রয়েছে। বর্তমানে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে যারা যুক্ত তারা সবাই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে আদর্শ হিসেবে মানেন। জীবনের মূল্য দিয়ে হলেও বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করে রাজনীতি করার নজির বাংলাদেশে রয়েছে।
ঠিক তেমনই এক আদর্শ ছাত্র রাজনীতির উদাহরণ কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার দফাদার পাড়া গ্রামের মেধাবী শিক্ষার্থী ইঞ্জিনিয়ার মোঃ সাকীল খান ।ছোটবেলা থেকেই লেখাপড়ার পাশাপাশি বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে লালন ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে মনে ধারণ করেন।
তরুণ এ নেতা এসএসসি পাসের পর রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে ডিপ্লোমাতে ভর্তি হন। তিনি ২০০৬ খ্রিস্টাব্দে কারিগরি শিক্ষাবোর্ড হতে ইলেকট্রনিক্স বিভাগে ১ম স্থান অধিকার করেন এবং ভর্তি পরীক্ষায় পঞ্চম হয়ে ২০০৮ খ্রিস্টাব্দে ঢাকা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ডুয়েট) ভর্তি হন।
মূলত এখান থেকেই তরুণ এই নেতার ছাত্র রাজনীতির হাতেখড়ি। লেখাপড়ার পাশাপাশি ছাত্র রাজনীতিতে যুক্ত হন তিনি এবং বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ডুয়েট শাখার সহ-সম্পাদক হিসেবে সক্রিয়ভাবে দায়িত্ব পালন করেন।
রাজনীতিতে সক্রিয় থাকলেও মেধার স্বাক্ষর রেখে ঢাকা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট) থেকে ইইই বিভাগে ৪র্থ স্থান অধিকার করে পাস করেন। পরবর্তীতে এমএসসি ও এমবিএতে ভর্তি হন এবং কর্মজীবনে প্রবেশ করে ডেসকোর সহকারি প্রকৌশলী হিসেবে যোগদান করেন বর্তমানে তিনি ডেসকোর সহকারি প্রকৌশলী হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।
চাকরির পাশাপাশি তথাকথিত রাজনীতির বাইরে গিয়ে সৎ, স্বচ্ছ ও পরিচ্ছন্ন রাজনীতির আদর্শে কাজ করে চলেছেন । বর্তমানে রাজনীতির নামে অনেকেই যেখানে নিজের আখের গোছাতে ব্যস্ত তখন তিনি ব্যতিক্রম কিছু করার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। রাজনীতির বাইরেও তিনি যুক্ত রয়েছেন বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের সাথে। এছাড়া আওয়ামাই টেকনোলজির মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে কাজ করে করছেন তিনি।
রাজনৈতিক কর্মকান্ডের সাথেও তিনি যুক্ত রয়েছেন। বর্তমানে বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদ, প্রাণের ৭১ সংগঠনেও তিনি কাজ করেছেন । সততা, বিনয়, মেধা ও পরিশ্রমের মাধ্যমে তিনি বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের সকলের নিকট প্রিয় পাত্র হয়ে উঠেন। এর পুরস্কার হিসেবে তিনি ২য় বারের মত বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার সম্পাদক হিসেবে দায়িত্বে রয়েছেন।
নিরব, নিভৃতচারী ও প্রচারবিমূখ এই তরুণ সবসময় কাজের মাধ্যমে সামাজিক উন্নয়নে নিজেকে যুক্ত রাখার চেষ্টা করেন। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক নির্দেশনা ও ডিজিটাল বাংলাদেশের রুপকার সজীব ওয়াজেদ জয়ের দর্শনকে কিভাবে রাজনৈতিকভাবে প্রতিষ্ঠা করা যায় সেই প্রচেষ্টায় অবিরাম, অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন এই তরুণ।
স্বচ্ছ-পরিচ্ছন্ন রাজনীতির পাশাপাশি সামাজিক উন্নয়নমূলক কাজের স্বীকৃতি স্বরুপ সমাজসেবায় বিশেষ অবদানের জন্য কলকাতার মৈত্রী সম্মাননা- ২০১৭ পুরস্কারে ভূষিত হন।এ পুরস্কার বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জল করেছে।
এছাড়া দেশ ও ভাষার প্রতি ভালোবাসার নিদর্শন হিসেবে নিজ উদ্যোগে ও নিজ খরচে শহীদ মিনার নির্মাণ, শীতার্ত মানুষদের পাশে দাড়ানো, ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণসহ বিভিন্ন সামাজিক উন্নয়নমূলক কাজে নিজে নিয়োজিত রেখেছেন।
পাশাপাশি সততা, আদর্শ ও মূল্যবোধ নিয়ে তরুণদের রাজনীতিতে আসার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। মানুষের সেবায় সারা জীবন কাজ করার আশা প্রকাশ করেন তরুণ এ ছাত্র নেতা। তথাকথিত কিছু কর্মকান্ড ছাত্রলীগের গৌরবকে ম্লান করে দেয়। বিতর্কের বাইরে বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক আদর্শ ধারণ করে তরুণদের রাজনীতিতে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন।
এমন পরিশ্রমী তরুণদের জয় জয়কার হোক রাজনীতিতে এবং সমাজ বিনির্মাণে।