উচ্চশিক্ষায় ভর্তিচ্ছুদের এবারও হয়রানি

নিজস্ব প্রতিবেদক |

বড় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অনাগ্রহেই এবারও চালু হচ্ছে না সমন্বিত ভর্তি পদ্ধতি। সমন্বিত ভর্তির ব্যাপারে সব বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ আগ্রহ প্রকাশ করলেও উপাচার্যরা একমত হতে পারেননি। ফলে অন্য বছরের মতো এবারও ভর্তির জন্য শিক্ষার্থীদের দৌড়ঝাঁপ করতে হবে দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে। হয়রান হতেই হবে ভর্তিচ্ছুদের। এমনকি একই জেলায় পৃথক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা দিতে একাধিকবার যেতে হবে শিক্ষার্থীদের। আবার যে পরিমাণ শিক্ষার্থী পাস করেছে তাদের অনুপাতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পর্যাপ্ত আসন নেই। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিক্যাল, ডেন্টাল ও মেরিন একাডেমি মিলে ৫২ হাজার আসন ঘিরে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হবে শিক্ষার্থীদের। ফলে ভালো ফল করেও ভর্তির নিশ্চয়তা নেই পছন্দের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে।

গত বছরের নভেম্বরে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেন। বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তিতে শিক্ষার্থীদের দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে যাওয়ার ভোগান্তি নিয়েও ব্যথিত হন তিনি। এর কিছুদিন পর ইউজিসির বার্ষিক প্রতিবেদন রাষ্ট্রপতির কাছে হস্তান্তরের সময়ও তিনি কমিশনের চেয়ারম্যানের কাছে সমন্বিত ভর্তি পদ্ধতির খোঁজ নেন। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সব উপাচার্যকে নিয়ে রাষ্ট্রপতির দপ্তরেই একটি বৈঠক আয়োজনের কথাও বলেন তিনি। কিন্তু আচার্যের এই আগ্রহের পরও বড় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উপাচার্যরা এ বিষয়ে কোনো আগ্রহ দেখাননি।

এ বিষয়ে ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেন, ‘রাষ্ট্রপতির অভিপ্রায় অর্থ নির্দেশনা। কিন্তু এর পরও সমন্বিত ভর্তি পদ্ধতি হয়নি। নিয়মানুযায়ী রাষ্ট্রপতির দপ্তর থেকে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এরপর আর এগোয়নি। তবে সমন্বিত না হলেও গুচ্ছভিত্তিক ভর্তি পরীক্ষা হওয়া দরকার। কারণ একজন শিক্ষার্থীকে পরীক্ষা দিতে একবার চট্টগ্রাম, একবার খুলনা কিংবা দিনাজপুর, আবার ঢাকায় আসতে হচ্ছে। এটা খুবই কষ্টকর। গুচ্ছভিত্তিক এই পরীক্ষা একবারেই না করে প্রথমে পরীক্ষামূলকভাবে করা যেতে পারে। এতে নতুনরা একসঙ্গে আর পুরনোরা একসঙ্গে করতে পারে। তবে এ জন্য মন্ত্রণালয়কে উদ্যোগ নিতে হবে। আমরা সহায়তা করতে পারি। ’

সংশ্লিষ্টরা জানায়, কয়েক বছর ধরেই সমন্বিত পদ্ধতিতে মেডিক্যালে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে। এতে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি কমেছে, যা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রেও হওয়া উচিত। তবে সমন্বিত না হয়ে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি হতে পারে। সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয়, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এবং কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ক্ষেত্রে তিন ভাগে ভাগ করে গুচ্ছ পদ্ধতি চালু করা যেতে পারে। শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ২০১৩-১৪ সেশনে একত্রে পরীক্ষা নেওয়ার উদ্যোগ নিলেও শেষ পর্যন্ত তা আর সফলতার মুখ দেখেনি।

জানা যায়, শিক্ষার্থীদের এখন প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আলাদাভাবে ফরম কিনতে হয়। এতে বড় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বড় অঙ্কের আয় হয়। যদিও ইউজিসির নির্দেশনা অনুযায়ী, ভর্তি পরীক্ষার আয়ের ৪০ শতাংশ টাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিলে জমা রেখে তা উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে ব্যয় করার কথা। কিন্তু অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয় তা করে না। আবার সমন্বিত ভর্তিতে এই আয়ে ছেদ পড়বে। এ ছাড়া ভর্তি বাণিজ্য আর কোচিং-গাইড বাণিজ্যের জন্যই অনেকে এ পদ্ধতির বিরোধিতা করে। সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা হলে এ ধরনের ব্যবসায় বড় ধস নামবে।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম বলেন, ‘সমন্বিত ভর্তি পদ্ধতি হলে ভালোই হতো। কিন্তু কিছু সমস্যাও রয়েছে। সব বিশ্ববিদ্যালয়ে এক ধরনের বিষয় নেই, এতে সমস্যা সৃষ্টি হবে। আর শিক্ষার্থীরা কয়েকটি পরীক্ষা দিয়ে একটিতে ভালো করে চান্স পেতে পারে। কিন্তু একটি পরীক্ষা যদি খারাপ হয় তাহলে তার আর ভর্তির সুযোগ থাকবে না। এ ছাড়া এই পদ্ধতি ব্যক্তি স্বাধীনতায়ও বাদ সাধবে। কেউ কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে না চাইলেও সে চান্স পেলে ভর্তি হতে হবে। তবে এই বিষয়গুলো কাটানো গেলে সমন্বিত ভর্তিতে বাধা নেই। ’

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেন, ‘আমি এখনো মনে করি সমন্বিত বা গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি হওয়া উচিত। কিন্তু বড় কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনাগ্রহের কারণে এটি হচ্ছে না। তারা বলছে, তাদের সিন্ডিকেট রাজি না। এত দিন পরীক্ষা ও খাতা মূল্যায়ন নিয়ে যে অনাস্থা ছিল এবারের এইচএসসির ফলে তা অনেকটাই কেছে গেছে। হয়তো আরো দু-চার বছর অপেক্ষা করলে মেধার ভিত্তিতেও ভর্তি করা যেতে পারে। ’

তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান সমন্বিত বা গুচ্ছ পদ্ধতির বিপক্ষে যুক্তি তুলে ধরে বলেন, ‘কিছু কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ভিত আছে। তাদের নিজেদের মতো করেই ভর্তি পরীক্ষা নিতে দেওয়া উচিত। ওই সব বিশ্ববিদ্যালয় তাদের মানদণ্ডে শিক্ষার্থী বাছাই করে নেবে। এখন যোগাযোগ অনেক সহজ হয়েছে, মানুষের সক্ষমতাও বেড়েছে। ফলে যারা বিভিন্ন জায়গায় যেতে পারবে, তারাই যাবে। অন্যদের যাওয়ার প্রয়োজন নেই। ’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় বাদে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তি পরীক্ষার সম্ভাব্য তারিখ ইতিমধ্যে ঘোষণা করেছে উপাচার্যদের সংগঠন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদ। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির আবেদন শুরু হবে ২৪ আগস্ট থেকে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন কলেজগুলোতে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে ভর্তি করা হবে। ঢাকা ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের তারিখ পরে ঘোষণা করা হবে। তবে যেদিনই হোক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা সকালে এবং ওই দিন বিকেলে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নেওয়া হবে।

সবার আগে ভর্তি পরীক্ষা হবে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে, ৮ থেকে ১৮ অক্টোবর। এরপর বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট), ১৪ অক্টোবর। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ২২ থেকে ২৬ অক্টোবর, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ২২ থেকে ৩০ অক্টোবর, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৫ থেকে ২৯ নভেম্বর, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ০৪ নভেম্বর, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে  ১৮ নভেম্বর, বাংলাদেশ টেক্সটাইল  বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৬ নভেম্বর এবং শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১ ডিসেম্বর ভর্তি পরীক্ষা হবে। এভাবে মূলত নভেম্বর ও ডিসেম্বরজুড়ে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তি পরীক্ষা হবে।

সংশ্লিষ্টরা বলছে, সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে তিন মাসজুড়ে ভর্তি পরীক্ষা হবে। অথচ সমন্বিত বা গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা হলে তিন দিনের মধ্যেই সব বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা শেষ করা সম্ভব।

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. অহিদুজ্জামান  বলেন, ‘সমন্বিত পদ্ধতিতেই ভর্তি পরীক্ষা হওয়া উচিত। আমেরিকার পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে একটা সেন্ট্রাল পরীক্ষার মাধ্যমেই শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়। ব্রিটেনে হয় মেধার ভিত্তিতে। আমাদের রাষ্ট্রপতিও এ ব্যাপারে উদ্যোগ নিয়েছিলেন। তবে সেটা বাস্তবায়িত হয়নি। এ ক্ষেত্রে আসলে সদিচ্ছার অভাব। বড় কিছু বিশ্ববিদ্যালয় সমন্বিত ভর্তিকে ইগো প্রবলেম মনে করে, এ জন্যই হয় না। ’

গত রবিবার প্রকাশিত হয়েছে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল। ফল প্রকাশের আগে শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের যে উদ্বেগ ছিল, এখন যেন তা আরো বেড়েছে। কারণ এবার শুরু পছন্দমতো উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির লড়াই। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে যে পরিমাণ আসন রয়েছে তাতে উত্তীর্ণদের মধ্যে শতকরা ১৬ ভাগের এক ভাগ ভর্তি হতে পারবে। বাকিদের পড়তে হবে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় অথবা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজে। এ ছাড়া এত দিন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পর পর দুবার ভর্তি পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ থাকলেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পথ ধরে এবার জগন্নাথ ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়েও একবার ভর্তি পরীক্ষা দেওয়ার বিধান করা হয়েছে। ফলে শিক্ষার্থীদের দুশ্চিন্তা আরো বেড়েছে।

রাজধানীর রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ থেকে এবার জিপিএ ৪.৮৮ পেয়ে এইচএসসি পাস করেছেন আল-আমিন। তাঁর বাবা মনিরুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘অল্পের জন্য ছেলেটা জিপিএ ৫ পেল না। এখন ভর্তি নিয়ে খুবই দুশ্চিন্তায় আছি। দুই মাস ধরে কোচিং করছে। এরপর আট-দশটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফরম তুলব। ফলে দেশের বিভিন্ন জায়গায় পরীক্ষা দিতে যেতে হবে। কিভাবে যাব, কোথায় থাকব, কে সঙ্গে যাবে—এটা একটা বড় সমস্যা। যদি মেডিক্যালের মতো একটি পরীক্ষা হতো তাহলে খুবই সুবিধা হতো। ’

এবারের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় পাস করেছে আট লাখ এক হাজার ৭১১ জন। এর মধ্যে জিপিএ ৫ পেয়েছে ৩৭ হাজার ৯৬৯ জন। জিপিএ ৪ থেকে ৫-এর নিচে পেয়েছে দুই লাখ ১৬ হাজার ২৮৭ জন। বর্তমানে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা ৪২টি। এর মধ্যে ৩৭টির শিক্ষা কার্যক্রম চালু রয়েছে। জাতীয় ও উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় বাদ দিলে আসন আছে ৪৭ হাজার ৬৩৬টি। এইচএসসি উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের বেশির ভাগেরই প্রথম টার্গেট পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, সরকারি মেডিক্যাল ও ডেন্টাল কলেজ, টেক্সটাইল কলেজ ও মেরিন একাডেমিতে ভর্তি হওয়া। কিন্তু এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আসন সংখ্যা খুবই সীমিত। ফলে এবার উচ্চশিক্ষায় ভর্তিতে এসব প্রতিষ্ঠানের ৫২ হাজার আসন নিয়েই কাড়াকাড়ি হবে শিক্ষার্থীদের মধ্যে। ইউজিসি সূত্র জানায়, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর একটি সেমিস্টারের হিসাব ধরে চলতি শিক্ষাবর্ষে উচ্চশিক্ষায় মোট আসন সংখ্যা ছয় লাখ ৩৬ হাজার ৩৪৩টি।

জানা যায়, সরকারি ৩০ মেডিক্যাল কলেজে প্রথম বর্ষে আসন তিন হাজার ২১২টি, বেসরকারি ৬৪টি মেডিক্যাল কলেজে আসন প্রায় ছয় হাজার। সরকারি ৯টি ডেন্টাল কলেজে আসন ৫৬৭টি, বেসরকারি ১৪টি ডেন্টাল কলেজে আসন ৮৯০টি। সরকারি ছয় টেক্সটাইল কলেজে আসন ৪৮০টি, সরকারি একটি মেরিন একাডেমিতে আসন ৩০০টি, বেসরকারি ১৭টি মেরিন একাডেমিতে আসন এক হাজার ৩৬০টি। এ ছাড়া দুটি আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়েও ৩৫০ জন শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ রয়েছে। ৯৬টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সেমিস্টারে আসন রয়েছে এক লাখ ৮৯ হাজার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজগুলোতে আসন সংখ্যা তিন লাখ ৯৮ হাজার ৯৩০টি এবং উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে আসন ৭৭৭টি।

সংশ্লিষ্টরা জানায়, প্রত্যেক বছর পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আসন সংখ্যা সামান্য বাড়লেও চাহিদাসম্পন্ন বিষয় তেমনভাবে বাড়ছে না। বর্তমান যুগ তথ্য-প্রযুক্তির। অথচ এই বিষয়ে পড়ার জন্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে আসন সংখ্যা খুবই কম। এ ছাড়া যেসব বিষয়ে শিক্ষার্থীদের আগ্রহ রয়েছে সেখানেও আসন কম।

এসব বিষয়ে ইউজিসি চেয়ারম্যান বলেন, ‘উচ্চশিক্ষায় আমাদের আসনের কোনো সংকট নেই। তবে পছন্দের প্রতিষ্ঠানে সবার ভর্তির সুযোগ নেই। এটাই স্বাভাবিক। আমার মনে হয় সবার উচ্চশিক্ষা গ্রহণের প্রয়োজন নেই। শুধু সার্টিফিকেট সর্বস্ব উচ্চশিক্ষা না নিয়ে কারিগরির দিকে শিক্ষার্থীদের যাওয়া উচিত। ’


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
ছুটি না বাড়ালে বাড়ি যেতে হতে পারে ঈদের দিন - dainik shiksha ছুটি না বাড়ালে বাড়ি যেতে হতে পারে ঈদের দিন হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী - dainik shiksha হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী জালিয়াতি করে পদোন্নতি শিক্ষা ক্যাডার গ্যাঁড়াকলে - dainik shiksha জালিয়াতি করে পদোন্নতি শিক্ষা ক্যাডার গ্যাঁড়াকলে রুয়েটের সাবেক উপাচার্য-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে মামলা - dainik shiksha রুয়েটের সাবেক উপাচার্য-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে মামলা উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি - dainik shiksha প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী - dainik shiksha হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0029020309448242