ময়মনসিংহ জেলার ফুলবাড়ীয়ার নবীনগর দ্বি-মুখী দাখিল মাদ্রাসার সভাপতি ছিদ্দিকুর রহমান মুন্সীর বিরুদ্ধে ঘুষ বাণিজ্যসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগ রয়েছে একই সাথে তিনটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সভাপতির পদে আছেন তিনি। একটি প্রাথমিক ও দুইটি দাখিল মাদ্রাসার সভাপতি পদে দায়িত্ব পালন ছাড়াও তিনি নিয়োগে ঘুষ বাণিজ্য করছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।
অভিযোগ করা হয় স্থানীয় সাংসদের ব্যক্তিগত সহকারি হওয়ার কারণে তিনি সভাপতির পদে থেকে নিয়োগ বাণিজ্য করছেন। তার নিয়োগ বাণিজ্যের কারণে মাদ্রাসার পরিচালনা কমিটির শিক্ষক প্রতিনিধিসহ ৬ জন সদস্য ইতোমধ্যে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে মাদ্রাসার সুপার পদে এক নিয়োগপ্রত্যাশী অভিযোগ করে বলেন, সভাপতি সুপার পদে নিয়োগ দেয়ার নামে এক প্রার্থীর কাছ থেকে তিন লাখ টাকা নিয়েছেন।
এছাড়া তিনি রেজুলেশন ছাড়া তিনবার পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন এবং বিজ্ঞপ্তির রেজুলেশন লেখার জন্য ভারপ্রাপ্ত সুপারকে চাপ দিচ্ছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।
এ প্রসঙ্গে জানতে অভিযুক্ত ছিদ্দিকুর রহমান মুন্সীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘রেজুলেশন ছাড়া আবার বিজ্ঞপ্তি দেয়া যায় নাকি? এসময় তিনি বাইরে আছেন বলে মোবাইলের সংযোগ কেটে দেন।’
এই কমিটির এক প্রভাবশালী সদস্য একই এলাকার একজনের কাছ থেকে টাকা নিয়েছিল ২য় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির সময় ! কিন্তু এখনও টাকা ফেরত না দিয়ে একই এলাকার ইউনুছ আলীকে পিয়ন পদে ৭লক্ষ টাকার বিনিময়ে এখন নিয়োগ দিতে চাচ্ছে !