একাদশ শ্রেণিতে অনলাইনে ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পর্কে শিক্ষার্থী, অভিভাবকসহ শিক্ষকদের ধারনা কম। এই কারনে ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে সকলে হয়রানির ও ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। এতে অনেক শিক্ষার্থী বাদ পড়ার পাশাপাশি ঝড়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে আশংকা করছেন শিক্ষক সংগঠন বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক সমিতি (বাকশিস) বরিশাল অঞ্চল শাখা।
এক লিখিত বিবৃতিতে কলেজ শিক্ষকদের সংগঠনের নেতৃবৃন্দ দৈনিক শিক্ষাকে জানিয়েছেন অনলাইনের মাধ্যমে নতুন ভর্তি প্রক্রিয়ার জ্ঞান সকলের নেই। অনলাইনের মাধ্যমে ভর্তি হওয়ার জন্য শিক্ষার্থীর দেয়া পাঁচটি কলেজের মধ্যে একটির নাম মোবাইল ফোনে ম্যাসেজ’র মাধ্যমে জানানো হবে।
শিক্ষক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বিবৃতিতে আরো বলেন, অনেক শিক্ষার্থীদের বাসায় বিদ্যুত ও মোবাইল নেই। এছাড়াও ভর্তি প্রক্রিয়ার বিষয়টি সর্ম্পকে অনেক শিক্ষকদের স্পষ্ট ধারনা নেই। তাই অনেক শিক্ষার্থীরা সঠিকভাবে আবেদন করতে পারেনি।
তারা আরো বলেন, আবেদন করে নিশ্চয়ন করতে হবে এ কথাটি আমরা শিক্ষকরাই বুঝি না। এত কঠিন বাংলা শব্দের কি প্রয়োজন ছিলো প্রশ্ন তুলে যৌথ বিবৃতিতে শিক্ষক নেতৃবৃন্দ বলেছেন, আবেদন ও নিশ্চয়ন করতে ধার্যকৃত টাকা মোবাইলের মাধ্যমে শিক্ষার্থীকে পে করতে হয়।
সব করে আবার শিক্ষার্থীদের কলেজের ধার্যকৃত টাকা দিয়ে ভর্তি হতে হবে। শিক্ষার্থী তার নিশ্চয়ন করা কলেজে ভর্তি হতে না চায় তাহলে তাকে মাইগ্রেশন করতে হয়। অথচ মাইগ্রেশন শব্দটি কি তা কি সকলে বুঝতে পারে ? আবার বুঝে মাইগ্রেশন করে শিক্ষার্থীরা সে ক্ষেত্রেও নির্ধারিত টাকা দিতে হয় মোবাইলে।
তার পরে আবার প্রতি ম্যাসেজ আসে মাইগ্রেশন হয় নাই। এ বছর ভর্তিতে যে তেলেসমাতি চলছে তাতে ভর্তিচ্ছুক ছাত্র-ছাত্রীদের নিদারুন ভাবে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। যে কারনে অনেক ছাত্র-ছাত্রী এখনো ভর্তির আবেদন কতে পারে নাই।
নেতৃবৃন্দ বলেন, অনলাইনে ভর্তিতে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি বিষয়টি নিয়ে বাকশিস এর নেতৃবৃন্দ বরিশাল মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক এর সাথে কথা বলেছেন। কিন্তু তিনি কোন সমাধানের পথ দেখাতে পারেননি। তিনি নেতৃবৃন্দকে কলেছেন “যারা এসএসসি পাশ করেছে তারা কেউ ভর্তির বাহিরে থাকবে না”।
এসব কারনে হতাশ বাকশিস বরিশাল বিভাগীয় কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক মহসিন উল ইসলাম হাবুল, যুগ্ম আহবায়ক অধ্যাপক গৌরাঙ্গ কুন্ডু, অধ্যক্ষ আমিনুল ইসলাম খসরু ও অধ্যক্ষ আমিনুর রহমান খোকন সংগঠনের নিজস্ব প্যাডের লিখিত ভাবে দৈনিক শিক্ষার মাধ্যমে ভর্তি বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়ে সব কিছু দ্রুত নিরসনের জন্য বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ম. জিয়াউল হক এর কাছে দাবী জানিয়েছেন।