এখনো নিয়োগ পাননি ৫৬ চাকরিপ্রার্থী

নিজস্ব প্রতিবেদক |

৩৫তম বিসিএসের প্রশাসন, পুলিশ, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ক্যাডারসহ বিভিন্ন ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়ে এক বছর পার হলেও এখনো চাকরিতে যোগদান করতে পারেননি প্রায় ৫৬ জন চাকরিপ্রার্থী। তাঁদের মধ্যে ৩২ জনের পুনঃ তদন্ত শুরু হলেও অন্যদের বিষয়ে কিছু বলছে না জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

নিয়োগবঞ্চিত আটজন প্রার্থী বলেন, ‘এখন পর্যন্ত নিয়োগবঞ্চিত ৫৬ জনের মধ্যে অনেকের পুনঃ তদন্ত শুরু হলেও আমাদের বিষয়ে কিছু বলছে না মন্ত্রণালয়। আমাদের আটজনের বিরুদ্ধে কোনো মামলা এমনকি রাজনৈতিক সম্পৃক্ততার অভিযোগও নেই। তারপরও আমাদের কারও বাবা, কারও চাচাকে রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা দেখিয়ে আমাদের নিয়োগবঞ্চিত রাখা হচ্ছে।’

পুলিশ ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত এক প্রার্থী বলেন, ‘বিসিএস ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়ে ভেবেছিলাম বেকারত্বের কষ্টের সময় হয়তো শেষ। কিন্তু সেই কষ্টের শেষ হলো কোথায়, উল্টো জীবনটাই থমকে গেল।’

একজন প্রার্থীর বাড়ি নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলায়। তিনি শিক্ষা ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন। তিনি বলেন, ‘জেলা প্রশাসনের অধীনে সহকারী কমিশনার (ভূমি) বিসিএসের তদন্তের সময় স্থানীয় এক ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে ভুল তথ্য-সংবলিত আমার প্রতিবেদনটি তৈরি করে মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দেন। পরে সেই কর্মকর্তা নিজেই বিষয়টি আমার কাছে স্বীকার করেছেন। অথচ এখন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় আমাকে নিয়োগও দিচ্ছে না, আবার পুনঃ তদন্তের জন্য পাঠাচ্ছেও না।’

ভুক্তভোগীরা বলেন, ৩৫তম বিসিএসে যাঁরা ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত হননি, তাঁদের মধ্য থেকে সাবরেজিস্ট্রার, পরিসংখ্যান কর্মকর্তা এবং সমাজসেবা কর্মকর্তা পদে প্রায় ৪০০ জনকে কোনো রকম তদন্ত ছাড়াই নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তাহলে আমাদের অপরাধটা কোথায়? পুনঃ তদন্তের পাঠানোটা আটকে আছে কেন? এ ব্যাপারে নিয়োগবঞ্চিতরা প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

সরকারি কর্মকমিশন (পিএসসি) ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে ৩৫তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি জারি করে পিএসসি। প্রিলিমিনারি, লিখিত ও মৌখিক সব পরীক্ষা শেষে গত বছরের ১৭ আগস্ট ২ হাজার ১৭২ জনকে নিয়োগের সুপারিশ করে চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হয়। সাড়ে ৭ মাস পর ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্তদের নিয়োগের উদ্দেশ্যে গত ২ এপ্রিল ২ হাজার ৭৩ জনের গেজেট প্রকাশ করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। পরে কয়েক দফায় আরও ৪৬ জনের গেজেট প্রকাশ করা হয়।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
জড়িত মনে হলে চেয়ারম্যানও গ্রেফতার: ডিবির হারুন - dainik shiksha জড়িত মনে হলে চেয়ারম্যানও গ্রেফতার: ডিবির হারুন পছন্দের স্কুলে বদলির জন্য ‘ভুয়া’ বিবাহবিচ্ছেদ - dainik shiksha পছন্দের স্কুলে বদলির জন্য ‘ভুয়া’ বিবাহবিচ্ছেদ হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা - dainik shiksha হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা সনদ বাণিজ্য : কারিগরি শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানের স্ত্রী কারাগারে - dainik shiksha সনদ বাণিজ্য : কারিগরি শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানের স্ত্রী কারাগারে কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে উপবৃত্তির জন্য সব অ্যাকাউন্ট নগদে রূপান্তরের নির্দেশ - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সব অ্যাকাউন্ট নগদে রূপান্তরের নির্দেশ সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা - dainik shiksha সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা জাতীয়করণ আন্দোলনের শিক্ষক নেতা শেখ কাওছার আলীর বরখাস্ত অনুমোদন - dainik shiksha জাতীয়করণ আন্দোলনের শিক্ষক নেতা শেখ কাওছার আলীর বরখাস্ত অনুমোদন ১৭তম ৩৫-প্লাস শিক্ষক নিবন্ধিতদের বিষয়ে চেম্বার আদালত যা করলো - dainik shiksha ১৭তম ৩৫-প্লাস শিক্ষক নিবন্ধিতদের বিষয়ে চেম্বার আদালত যা করলো দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে তিন স্তরে সনদ বিক্রি করতেন শামসুজ্জামান, দুদকের দুই কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা - dainik shiksha তিন স্তরে সনদ বিক্রি করতেন শামসুজ্জামান, দুদকের দুই কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0059411525726318