এমপিওভুক্তির লক্ষ্যে বেসরকারি কলেজে কর্মরত ২০১১ খ্রিস্টাব্দের ১৩ই নভেম্বরের পর অনুমোদিত বিষয়ের বিপরীতে বৈধভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত ননএমপিও শিক্ষকদের বিষয়ে আবারও তথ্য চেয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর। রোববার (২২শে অক্টোবর) মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর এ সংক্রান্ত এক আদেশ প্রকাশ করেছে।
আদেশে কলেজসমূহে ২০১১ খ্রিস্টাব্দের ১৩ই নভেম্বরের পর অনুমোদিত বিষয়ের বিপরীতে বৈধভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত নন-এমপিও শিক্ষকদের নামের তালিকা ছক আকারে হার্ড কপি এবং সফ্ট কপি শিক্ষা অধিদপ্তরে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা কর্মকর্তাদেরকে পাঠানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
শিক্ষা কর্মকর্তাদের তিন কর্মদিবসের [email protected] ঠিকানায় নির্দিষ্ট ছক যুক্ত শিক্ষকদের এ তথ্য পাঠানোর নির্দেশ দেয়া হয়।
তবে আদেশে বেশ কিছু শর্ত জুড়ে দিয়েছে শিক্ষা অধিদপ্তর। এসব শর্তে মধ্যে বলা হয়েছে, শুধুমাত্র স্বীকৃত অথবা অধিভুক্ত বিষয়ের প্যাটার্ণভুক্ত পদে বৈধভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকদের তথ্য তালিকাভুক্ত করতে হবে। এক্ষেত্রে উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের এমপিও কোড প্রাপ্ত কলেজের অনার্স, ডিগ্রি বা মাস্টার্স পর্যায়ের শিক্ষকদের তালিকাভুক্ত করা যাবে না। ডিগ্রি স্তরের এমপিও কোড প্রাপ্ত কলেজের অনার্স, মাস্টার্স পর্যায়ের শিক্ষকদেরও তালিকাভুক্ত করা যাবে না। একইসাথে যেসব বিষয়ের অধিভুক্তি ও পাঠদানের অনুমতি প্রাপ্ত হয়নি এমন বিষয়ের নিয়োগ প্রাপ্ত শিক্ষকদেরকেও তালিকাভুক্ত করা যাবে না। পাশাপাশি তালিকায় অবশ্যই বিষয় স্বীকৃতি ও অধিভুক্তির পত্র সাথে সংযুক্ত করতে হবে।
দৈনিকশিক্ষার পাঠকদের সুবিধার জন্য কলেজ শিক্ষকদের তথ্য ছকটি দিয়ে দেয়া হলো।
বৈধভাবে নিয়োগ পেয়ে দীর্ঘ কয়েকবছর যাবত পাঠদান করে আসছেন আইসিটি তথা কম্পিউটার ও বিজ্ঞান শিক্ষক এবং অতিরিক্ত শ্রেণি শাখা ও বিষয়ের শিক্ষকরা্ কিন্তু তাদেরকে এমপিওভুক্ত করা হচ্ছেনা। অবশেষে উদ্যোগ নেয়া হলো এমপিওভুক্তির। সেই লক্ষ্যেই ফের তথ্য চাওয়া হয়েছে বলে দৈনিকশিক্ষাডটকমকে জানিয়েছেন অধিদপ্তরের একাধিক কর্মকর্তা। এর আগে যাদেরকে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে তাদের নাম যেন বাদ না পড়ে সেলক্ষ্যে জেলাভিত্তিক তালিকাটিও জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো হয়েছে।
তবে, মাদ্রাসা শিক্ষকদের জন্য কী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে তা এখনও জানা যায়নি।