এমপিওভুক্ত হতে পারবেন না। উপ-পরিচালকের মুখ থেকে এমন দু:সংবাদ পেয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়েন শিক্ষক শারমিন আক্তার। ১৯ শে সেপ্টেম্বর বিকেলে ঢাকার মিরপুরে অবস্থিত আঞ্চলিক উপ-পরিচালক গৌর মণ্ডলের অফিসে এ ঘটনা ঘটে। দাঁতে খিল লেগে ঘন্টা দুয়েক অফিসের মেঝেতে শুয়ে থাকা শারমিনের ছবি দৈনিকশিক্ষার হাতে রয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক কর্মকর্তা দৈনিকশিক্ষাডটকমকে জানান, নতুন শিক্ষক-কর্মচারি এমপিওভুক্তির অনুমোদন দেয়ার শেষ দিন ছিলো ১৯ সেপ্টেম্বর। এই খবর পেয়ে ২০১৬ খ্রিস্টাব্দের নভেম্বর মাসে মানিকগঞ্জ সদরের নবারুণ স্কুলের কৃষি বিষয়ে নিয়োগ পাওয়া শিক্ষক শারমিন আক্তার উপ-পরিচালকের কক্ষে হাজির হন। অনুনয় বিনয় করেন। কিন্তু তাতে মন গলেনি গৌর। সব যোগ্যতা থাকা শিক্ষক শারমিনকে জানানো হয় তিনি এমপিওভুক্ত হতে পারবেন না। উপ-পরিচালকের মুুখে এমন কথা শুনে ঘটনাস্থলেেই অজ্ঞান হয়ে পড়েন তিনি। তার দাতে খিল লেগে থাকে। বিকেল চারটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
উপস্থিত অন্যান্য শিক্ষকরা শারমিনের মোবাইল নম্বর খুজেঁ শ্বশুরের নম্বর পেয়ে তাকে খবরটি জানান। ঘন্টাদুয়েক পরে শ্বশুর শারমিনকে মোহাম্মদপুরের বাসায় নিয়ে যান। রাত নয়টায় দৈনিকশিক্ষার পক্ষ থেকে শারমিনকে ফোন করা হলে ফোনটি রিসিভ করার পর শারমিন তার শ্বশুরকে ফোনটি হস্তান্তর করেন। শারমিনের শ্বশুর জানান, ‘শারমিন অসুস্থ তাই কথা বলতে পারবেন না।’
জানা যায়, অনলাইনে আবেদন করার পর আবেদন রিজেক্ট করা হয়। চলতি মাসের এমপিও অনুমোদনের আজ শেষ দিন। এমন খবর পেয়ে উপ-পরিচালকের কাছে ছুটে আসেন শারমিন । তাকে বলা হয় ওই স্কুলে অন্য বিষয়ে অতিরিক্ত শিক্ষক নিয়োগ দেয়া আছে।
অজ্ঞান হয়ে পড়ে থাকার বিষয়ে কথা বলতে চাইলে গৌরকে পাওয়া যায়নি।
শিক্ষা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক থাকাকালে শত শত অবৈধ এমপিওভুক্তির দায়ে অভিযুক্ত গৌরর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করে তদন্ত কমিটি। শিক্ষা অধিদপ্তরকে ব্যবস্থা নিতে বলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। কয়েকমাস পেরিয়ে গেলেও কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
গৌর মূলত একজন সরকারি হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক। দুর্নীতির দায়ে ধানমন্ডি গভ: বয়েজ স্কুল থেকে তাকে বদলি করার সুপারিশ করেন স্থানীয় এমপি ফজলে নুর তাপস। তাকে মানিকগঞ্জে বদলি করা হলেও কয়েকমাসের মধ্যে শিক্ষা অধিদপ্তরের গুরুত্বপূর্ণ পদে চলে আসেন।