সাত হাজার তিনশ নিরানব্বই জন স্কুল ও কলেজ শিক্ষক এমপিওভুক্ত হচ্ছেন। তারা বৈধভাবে নিয়োগ পেয়ে গত কয়েকবছর যাবত পাঠদান করে আসছেন। এঁদের মধ্যে পাঁচ হাজার ছয়শ জন অতিরিক্ত শ্রেণি শাখা ও বিভাগ এবং বিষয়ের বিপরীতে ২০১১ খ্রিস্টাব্দের ১৩ই নভেম্বরের পরে নিয়োগ পাওয়া। ২৫২ জন বিজ্ঞানের শিক্ষক ও ১৫৪৭ জন কম্পিউটার তথা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ের। সবাই স্কুল ও কলেজে নিয়োগ পাওয়া।
২০ সেপ্টেম্বর অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো একটি চিঠির আলোকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ৭৩৯৯ জন স্কুল ও কলেজ শিক্ষকের পদের নাম, বিষয়, প্রতিষ্ঠানের ধরণ, বেতন গ্রেড ও আর্থিক সংশ্লেষসহ কর্মরত সব শিক্ষকের নামের তালিকা চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। যাবতীয় তথ্য চেয়ে ৩রা অক্টোবর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব নুসরাত জাবীন বানু স্বাক্ষরিত একটি চিঠি মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে পাঠানো হয়। চিঠির কপি দৈনিকশিক্ষাডটকমের হাতেও রয়েছে।
অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানান, সব তথ্যই তাদের হাতে রয়েছে। গত বছর একবার পাঠানো হয়েছে। নতুন করে যেহেতু চিঠি পেয়েছি তাই আবারও তথ্য পাঠানো হবে। সব তথ্যই অধিদপ্তরের কাছে রয়েছে।
সাবেক শিক্ষা সচিব ও দৈনিকশিক্ষার প্রধান উপদেষ্টা মো: নজরুল ইসলাম খান বলেন, মন্ত্রণালয় চাইলে আরও আগেই এই শিক্ষকদের এমপিওভুক্ত করতে পারতো।‘আমি সচিব থাকাকালীন উদ্যোগ নিয়েছিলাম কিন্তু অদৃশ্য কারণে উদ্যোগটি থেমে রয়েছে।’
এদিকে এমপিওবিহীন অবস্থায় বছরের পর বছর পাঠদান করিয়ে যাওয়া আইসিটি, বিজ্ঞান ও অন্যান্য বিষয়ের শিক্ষকরা তাদের ক্ষোভের কথা প্রতিদিন জানাচ্ছেন তাদের প্রিয় দৈনিকশিক্ষাডটকমকে।