বরগুনার আমতলী উপজেলার নয় শিক্ষক আসন্ন এসএসসি পরীক্ষার উত্তরপত্র পরীক্ষক হিসেবে মূল্যায়ন করতে পারবেন না।
বুধবার (১৭ জানুয়ারি) একটি চিঠির মাধ্যমে বিগত বছরে উত্তরপত্র মূল্যায়নে অবহেলার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় এ আদেশ দিয়েছেন বরিশাল মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর মো. আনোয়ারুল কবির।
জানা গেছে, ২০১৭ সালের এসএসসি পরীক্ষার উত্তরপত্র মূল্যায়নে আমতলী উপজেলার নয় শিক্ষক পরীক্ষক হিসেবে বিভিন্ন ধরনের ভুলত্রুটি করেছেন। এ ভুলত্রুটিগুলো প্রধান পরীক্ষককের চোখে ধরা পড়ায় তারা (প্রধান পরীক্ষক) বরিশাল মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের কাছে এ সব পরীক্ষকদের কালো তালিকা করে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রতিবেদন দাখিল করেন।
শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক এ প্রতিবেদন পেয়ে ভুলত্রুটির ধরন অনুসারে কালো তালিকা করে চিলা হাসেম বিশ্বাস মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মোয়াজ্জেম হোসেন, সহকারী শিক্ষক আজাহার উজ্জ্বল, আমতলী একে পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. বজলুর রহমান, কুকুয়া আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সুনীল চন্দ্র শীল, খলিলুর রহমান, ঘটখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আবদুস সোবাহান ও চুনাখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. গোলাম মোস্তফাকে এক বছর এবং চুনাখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সিনিয়র সহকারী শিক্ষক মো. আবু জাফর ও কাউনিয়া ইব্রাহিম একাডেমির সহকারী শিক্ষক মো. সেলিম মাহমুদকে দু’বছরের জন্য পরীক্ষক থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন।
এ সব পরীক্ষকগণ ২০১৮ সালে ফেব্রুয়ারি মাসে অনুষ্ঠিত এসএসসি পরীক্ষার উত্তরপত্র মূল্যায়ন করতে পারবেন না।
আমতলী একে পাইলট সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) মো. বজলুর রহমান জানান, কোনো কারণ ছাড়াই আমাকে অন্যায়ভাবে পরীক্ষক (গণিত) থেকে অব্যাহতি দিয়েছে।
আমতলী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. আকমল হোসেন খাঁন জানান, এ বিষয়ে আমি অবগত নই।