লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার ১৩৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১২৭টিতেই শহীদ মিনার নেই। শতকরা হিসেবে যা ৯৩ ভাগ। রাষ্ট্রভাষা বাংলা প্রতিষ্ঠার ৬৬ বছর পূর্তি হলেও ওইসব প্রতিষ্ঠানগুলোতে আজও শহীদ মিনার নির্মিত না হওয়ায় ভাষা শহীদদের প্রতি যথাযথ শ্রদ্ধা জানাতে পারছে না প্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষার্থীরা।
উপজেলা প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় কলেজ, মাধ্যমিক, নিম্নমাধ্যমিক, প্রাথমিক বিদ্যালয়, কিন্ডার গার্টেন ও মাদ্রাসা মিলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ১৩৬টি। এর মধ্যে দু’টি কলেজ, ১৪টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, চারটি নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়, ৭০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ২১টি কিন্ডার গার্টেন, ১৪টি দাখিল-আলিম-ফাজিল মাদ্রাসা ও ১১টি স্বতন্ত্র এবতেদায়ি মাদ্রাসা রয়েছে। কিন্তু ওই প্রতিষ্ঠানগুলো মধ্যে একটি কলেজ ও আটটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ছাড়া অপর ১২৭টি প্রতিষ্ঠানে আজও শহীদ মিনার নির্মিত হয়নি।
শহীদ মিনার না থাকায় প্রতিবছর ২১শে ফেব্রুয়ারি এলেই ওইসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা নিজ উদ্যোগে বাঁশ-কাঠ, আবার কোথাও কলাগাছ ও মাটি দিয়ে অস্থায়ী শহীদ মিনার নির্মাণ করে সেখানে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন। যে কারণে মহান ভাষা আন্দোলনের চেতনা সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের যথাযথ ধারণা নেওয়া ব্যাহত হচ্ছে।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি কামরুল হাসান দৈনিকশিক্ষা ডটকমকে জানান, উপজেলার সরকারি-বেসরকারি ৭০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কোনোটিতে শহীদ মিনার না থাকায় বিদ্যালয়গুলোর কোমলমতি শিক্ষার্থীরা অস্থায়ী শহীদ মিনার নির্মাণ করে প্রতিবছর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করে।
উপজেলার হাজিরহাট হামেদিয়া ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা যায়েদ হোছাইন ফারুকী দৈনিকশিক্ষা ডটকমকে জানান, রাষ্ট্রভাষা বাংলা প্রতিষ্ঠার ৬৬ বছর পূর্তি হলেও উপজেলার সবকটি মাদ্রাসা শহীদ মিনারবিহীন থাকা খুবই দুঃখজনক। তাই শহীদ মিনারবিহীন প্রতিষ্ঠানগুলোতে অতিদ্রুত শহীদ মিনার নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণের দাবি জানান তিনি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. আজগর আলী দৈনিকশিক্ষা ডটকমকে জানান, শহীদ মিনারবিহীন প্রতিষ্ঠানগুলোতে শহীদ মিনার নির্মাণের চেষ্টা চলছে।