ঈদ ও জুন ফাইনাল তাই। এ মাসেই খরচ করতে হবে সব টাকা। তাই তড়িঘড়ি করে স্কুল মেরামতের টাকা তুলতে স্কুল প্রতি ৫’শ থেকে এক হাজার টাকা ঘুষ দিতে হচ্ছে। পটুয়াখালীর কলাপাড়ার ৫৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের রুটিন মেরামতের ৯ হাজার টাকা তুলতে এ টাকা ঘুষ দিতে হচ্ছে উপজেলা শিক্ষা অফিসকে।
তবে উপজেলা শিক্ষা অফিসার ঘুষ নেয়ার কথা অস্বীকার করে বলেন, হয়তো ওই টাকা তুলতে সংশ্লিষ্ট অফিসে কিছু টাকা খরচ হচ্ছে।
অভিযোগে জানা যায়, শুধু এ অফিস মেরামতেই টাকা দিতে হচ্ছে তা নয়, শ্রান্তি বিনোদন ভাতা উত্তোলন করতেও ঘুষ দিতে হচ্ছে। এ টাকা তুলতে শিক্ষকদের একটি অংশ শিক্ষা অফিসের সাথে কাজ করছে।
শিক্ষকদের অভিযোগ, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মনি লাল সিকদার শ্রান্তি বিনোদন ভাতা থেকে শিক্ষকদের কাছ থেকে পাঁচশ টাকা করে আদায় করছেন।
কলাপাড়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মনি লাল সিকদার জানান, স্কুল মেরামতের টাকা তুলতে হয়তো শিক্ষকদের চারশ-পাঁচশ টাকা খরচ হচ্ছে। তবে তিনি কোন টাকা নিচ্ছেন না। আর শ্রান্তি বিনোদন ভাতা উত্তোলনে টাকা চাওয়ার কথা তিনি অস্বীকার করেন।