ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারি কল্যাণ তহবিল থেকে অগ্রিম অর্থ নিয়ে ল্যাপটপ ক্রয় ও সমবায় ভিত্তিতে শিক্ষকদের মধ্যে তা বিতরণের চিন্তা করা হচ্ছে। উদাহরণ হিসেবে সামনে আনা হয়েছে খুলনা নগরীর খালিশপুর বঙ্গবাসী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ঘটনা। তারা প্রথম বারের মত বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারি তহবিল থেকে অর্থ গ্রহণ করে ল্যাপটপ ক্রয় করে সমবায় ভিত্তিতে শিক্ষকদের মধ্যে বিতরণ করেন।
বঙ্গবাসী বিদ্যালয়ের উদাহরণটি সারাদেশে কীভাবে বাস্তবায়ন করা যায় সেবিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের মতামত জানতে চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, খুলনা নগরীর খালিশপুর বঙ্গবাসী মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রথম বারের মত বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারি তহবিল থেকে অর্থ গ্রহণ করে ল্যাপটপ ক্রয় করে সমবায় ভিত্তিতে শিক্ষকদের মধ্যে বিতরণ করেন। এ উদ্যোগ অন্যান্য বিদ্যালয়গুলোকেও গ্রহণ করার বিষয়ে একটি প্রস্তাব খুলনা জেলা প্রশাসক শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করেন।
বিষয়টি আমলে নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় উদ্যোগটি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে মতামত চেয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে চিঠি দিয়েছে। চিঠিতে বাস্তবতা এবং প্রয়োগের যথার্থতা উল্লেখপূর্বক বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারিদের মধ্যে ল্যাপটপ ক্রয় সমবায় ভিত্তিতে বিতরণ এবং ডিজিটাল কন্টেন্টের মাধ্যমে ক্লাস গ্রহণের বিষয়ে মতামতসহ প্রস্তাব প্রেরণের জন্য অনুরোধ করা হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বঙ্গবাসী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ দেলোয়ার হোসেন দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, আমাদের বিদ্যালয়ে ২৯ জন শিক্ষকসহ মোট ৩৬ শিক্ষক-কর্মচারি রয়েছেন। আমাদের বিদ্যালয়ে কোন শিক্ষকের কাছেই ল্যাপটপ ছিল না। শিক্ষকদের অনেক বলেও কেনানো সম্ভব হয়নি। তাই বিদ্যালয়কে ডিজিটাল করার লক্ষ্যে আমি উদ্যোগ নিয়ে শিক্ষক-কর্মচারি তহবিল থেকে অগ্রিম টাকা নিয়ে ল্যাপটপ ক্রয় করে সব শিক্ষককে দেয়া হয়েছে। প্রতি ল্যাপটপের দাম ৩৪ হাজার টাকা। তবে শিক্ষকদের প্রতি মাসে ১ হাজার টাকা করে ২০ মাসে ২০ হাজার টাকা পরিশোধ করতে হবে।
কয়েক মাস আগে শিক্ষামন্ত্রীর খুলনা সফরে প্রধান শিক্ষক মোঃ দেলোয়ার হোসেনকে মন্ত্রী তার এমন উদ্যোগের ভুয়সী প্রসংশা করেছেন বলে তিনি জানান।