অবশেষে রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার পুরাণ তাহিরপুর বিএম টেকনিক্যাল কলেজের সেই ১০ শিক্ষার্থী অনলাইনেও পাস করেছেন। তারা ২০১৭ সালে অনুষ্ঠিত এইচএসসির (বিএম) ফল প্রত্যাশী ছিলেন।
গত ১৮ নভেম্বর একটি দৈনিকে ‘অনলাইনে ফেল, মার্কশিটে পাস!, কারিগরি বোর্ডের তেলেসমাতি’ শীর্ষক এক সংবাদে টনক নড়ে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষাবোর্ড কর্তৃপক্ষের। বৃহস্পতিবার সকালে ভুক্তভোগী একজন শিক্ষার্থী বোর্ডের ওয়েবসাইটে তার ফলাফল পাস দেখতে পান। তার মাধ্যমে ঘটনাটি জানাজানির পর ভুক্তভোগী অন্য ৯শিক্ষার্থীও বোর্ডের ওয়েবসাইটে নিজেদের ফলাফল পাস দেখতে পান।
অথচ, তারা বোর্ডে খাতা চ্যালেঞ্জ করেও পাস করেনি। পরে অর্থের বিনিময়ে পাস করেছে, এমন দাবি ওই শিক্ষার্থীদের। তবে দাবিকৃত তিন লাখ টাকার সম্পূর্ণ পরিশোধ না করায় তাদের ছাপানো পাস মার্কশিট প্রদান করা হলেও কৌশলে অনলাইন ফলাফলে ফেল দেখানো হয়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক বাংলাদেশ কারিগরি ও মাদ্রাসা বোর্ডের সচিব আলমগীর হোসেন বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন। এছাড়া পুরাণ তাহিরপুর বিএম টেকনিক্যাল কলেজের এইচএসসি সমমানের শিক্ষার্থী নান্টু ইসলাম, আবু সাইদ ও মশিউর রহমানও লিখিত অভিযোগ করেছেন। এসব অভিযোগ সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে এ সংক্রান্ত সংবাদটি প্রকাশিত হয়।
এরআগে তাদের টাকার বিনিময়ে পাস দেখিয়ে ছাপানো মার্কশিট দেয়া হলেও ঘুষের বাকী টাকা আদায়ের কৌশল হিসেবে সংশ্লিষ্টরা অনলাইনে ফেল দেখায়। ফলে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা উচ্চতর শ্রেণিতে ভর্তি হতে পারছিল না। বৃহস্পতিবার অনলাইনেও পাস করায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ও তাদের পরিবারের সদস্যরা আনন্দে উদ্বেলিত।
প্রসঙ্গত, কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে গত ৯ অক্টোবর রাজশাহীতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালনের পর অকৃতকার্য সাড়ে তিনশ’ শিক্ষার্থীকে পাশ করিয়ে দেন পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ও তৎকালীন অতিরিক্ত সিস্টেম এনালিস্ট সুশীল কুমার পাল।
এরপর ১৬ অক্টোবর বোর্ডের যুগ্ম সচিব মো. নায়েব আলী মণ্ডল স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে সুশীল কুমার পালকে সিস্টেম এনালিস্টের অতিরিক্ত দায়িত্বে থেকে অব্যাহতি দিয়ে প্রোগ্রামার মোহাম্মদ সামশুল আলমকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। তবে এ কাজটিও বিধি বহির্ভূত বলে জানিয়েছেন বোর্ডের একাধিক কর্মকর্তা।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, এখনও কারিগরি বোর্ডের ১৯ হাজার শিক্ষার্থীকে অনলাইন ফলাফলে পাস, কিন্তু মার্কশিটে ফেল দেখানো হচ্ছে।
এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে কারিগরি বোর্ডের চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক সুশীল কুমার পালের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য একাধিকবার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তারা ফোন রিসিভ না