এ বছর কুমিল্লা বোর্ডের এসএসসি পরীক্ষার পর এইচএসসি পরীক্ষায়ও ফল বিপর্যয়ে অভিভাবক ও পরীক্ষার্থীদের মধ্যে হতাশা নেমে এসেছে। এ পরিস্থিতিতে কুমিল্লা বোর্ডের পরীক্ষার্থীদের অন্যান্য বোর্ডের পরীক্ষার্থীদের কাছে দুর্বল হিসেবে দাঁড় করানো হচ্ছে। কঠোরভাবে খাতা মূল্যায়ন করতে গিয়ে অবমূল্যায়ন হয়েছে কি না এবং পরীক্ষার্থীদের প্রতি অবিচার করা হয়েছে কি না তা ভেবে দেখা দরকার। যারা কাঙ্ক্ষিত ফল লাভ করতে পারেনি তাদের অনেকে খাতা পুনর্নিরীক্ষণের জন্য বোর্ড কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছে।
এতে হয়তো পরীক্ষার্থীদের আর একটি বিড়ম্বনার শিকার হতে হবে। কারণ খাতা পুনর্নিরীক্ষণে বোর্ড কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা এবং দায়সারাভাব লক্ষ করা যায়। জানা গেছে, পুনর্নিরীক্ষায় বোর্ড কর্তৃপক্ষ যথাযথ মূল্যায়ন না করে শুধু খাতায় প্রাপ্ত নম্বর ঠিক আছে কি না তা যাচাই করে। ফলে খাতা পুনর্নিরীক্ষা করতে অনেকেই আগ্রহ দেখান না। তাঁরা মনে করেন, খাতা পুনর্নিরীক্ষণে কোনো লাভ নেই। তার পরও কথায় আছে, ‘সংসার সাগরে সুখ-দুঃখ তরঙ্গ খেলা আশাই একমাত্র ভেলা। ’ তাই একবুক আশা নিয়ে অনেকে খাতা পুনর্নিরীক্ষার জন্য আবেদন করেছে।
এবার যেহেতু কুমিল্লা বোর্ডে চরম ফল বিপর্যয় হয়েছে এবং জিপিএ ৫ প্রাপ্তদের সংখ্যা অন্যান্য বোর্ডের চেয়ে কম, তাই সহানুভূতি ও আন্তরিকতার সঙ্গে যথাযথভাবে খাতা মূল্যায়ন করা হোক। এতে বোর্ডের ভাবমূর্তি কমবে না, বরং আরো উজ্জ্বল হবে।
মো. আবুল কালাম আজাদ, কলেজ রোড, লক্ষ্মীপুর।