টাঙ্গাইল শহরের চারটি কেন্দ্রে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার আসনবিন্যাস নতুন করে করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, বিভিন্ন কোচিং সেন্টার এবং বাণিজ্যিক ভিত্তিতে পরিচালিত প্রাইভেট স্কুলের পরীক্ষার্থীদের বিশেষ সুবিধা দেওয়ার জন্য শহরের চারটি কেন্দ্রে আসনবিন্যাস করা হয়েছিল। তাই পুরোনো আসনবিন্যাস বাতিল করে নতুন আসনবিন্যাস করা হবে। এরই মধ্যে আজ একটি কেন্দ্রে নতুন আসনবিন্যাসে পরীক্ষাও হয়েছে।
টাঙ্গাইল সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয় সূত্র জানিয়েছে, এবার সদর উপজেলায় মোট ১০ হাজার ৭৯৯ জন শিক্ষার্থী প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। এর মধ্যে শহরের প্রায় আড়াই হাজার পরীক্ষার্থী টাঙ্গাইল শহরের চারটি কেন্দ্রে পরীক্ষা দিচ্ছে। এই কেন্দ্রগুলো হলো জেলা সদর প্রাথমিক বিদ্যালয়, বিন্দুবাসিনী সরকারি বালক উচ্চবিদ্যালয়, বিন্দুবাসিনী সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় ও পুলিশ লাইনস উচ্চবিদ্যালয়।
অভিভাবকদের অভিযোগ, গতকাল রোববার পিইসি পরীক্ষার প্রথম দিন শহরের চারটি কেন্দ্রে আসনবিন্যাস এমনভাবে করা হয়েছিল, যাতে এক কক্ষে এক স্কুলের পরীক্ষার্থীরাই অংশ নেয়। অভিভাবকেরা বলছেন, শহরের বিভিন্ন কোচিং সেন্টার ও বেসরকারি স্কুলের সঙ্গে যোগসাজশ করে এভাবে আসনবিন্যাস করা হয়েছে। এতে ওই সব কোচিং এবং বেসরকারি স্কুলগুলোর শিক্ষার্থীরা বিশেষ সুবিধা পেয়েছে।
পরে অভিভাবকেরা গতকালই জেলা প্রশাসনকে বিষয়টি অবহিত করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও উন্নয়ন) আশরাফুল মোমিন খান নতুন করে আসনবিন্যাসের নির্দেশ দেন। জেলা সদর প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে আজ নতুন আসনবিন্যাসেই পরীক্ষা নেওয়া হয়। বাকি তিন কেন্দ্রে আগামীকাল থেকে নতুন আসনবিন্যাসে পরীক্ষা নেওয়ার কথা রয়েছে।
জেলা সদর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বেগম শামসুন নাহার বলেন, অন্যান্য বছরের মতো করেই আসনবিন্যাস করা হয়েছিল। কোনো স্কুলের পরীক্ষার্থীদের সুবিধা দেওয়ার জন্য তা করা হয়নি। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের (শিক্ষা ও উন্নয়ন) নির্দেশে নতুন করে আসনবিন্যাস করা হয়েছে।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও উন্নয়ন) আশরাফুল মোমিন খান বলেন, অভিভাবকদের কাছ থেকে অভিযোগ পাওয়ার পর সঠিকভাবে আসনবিন্যাসের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
টাঙ্গাইল সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন বলেন, রোল নম্বর অনুযায়ী আসনবিন্যাস করায় এক রুমে এক স্কুলের পরীক্ষার্থীদের আসন পড়েছিল। এখন নতুন আসনবিন্যাস করা হয়েছে।