টাঙ্গাইল ঘাটাইল উপজেলার পাহাড়িয়া অঞ্চলের সিদ্দিখালী এলাকায় একটি কোম্পানির নিঃসৃত গ্যাসের দুর্গন্ধে চারটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের লেখাপড়া মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। শ্রেণিকক্ষসহ চারিদিকে পচা দুর্গন্ধের কারণে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমে যাচ্ছে। এ নিয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও এলাকার সাধারণ জনগণের মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।
এলাকাবাসী জানায়, উপজেলার পূর্বাঞ্চলের পাহাড়িয়া এলাকায় সিদ্দিখালী নিম্ন-মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের দক্ষিণপাশে ‘প্যারাগণ ’ নামে একটি কোম্পানি গড়ে উঠেছে। এ কেম্পানিটি বিগত ছয় মাস ধরে মুরগির বিষ্ঠা ও মৃত মুরগি দিয়ে জৈব সার তৈরি করে আসছে। জৈব সার তৈরির সময় কোম্পানির ভিতর থেকে এক ধরনের গ্যাস নিঃসৃত হয়। এই পচা দুর্গন্ধযুক্ত গ্যাস এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে সিদ্দিখালী, দুলালিয়া ও উত্তর লক্ষিন্দর এলাকার জনগণের বসবাস হুমকি হয়ে পড়েছে। এ ছাড়া সিদ্দিখালী নিম্ন-মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, সিদ্দিখালী এবতেদায়ি মাদ্রাসা, মেধা সিঁড়ি কিন্ডার গার্টেন ও আদর্শ কিন্ডার গার্টেনের প্রায় সহস্রাধিক শিক্ষার্থীর লেখাপড়া হুমকি হয়ে পড়েছে। শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে ক্লাস করার জন্য উপস্থিত হলেও কোম্পানির ঐ নিঃসৃত গ্যাসে লণ্ডভণ্ড হয়ে যায় কোমলমতি শিশুদের মন। সামনে অর্ধ-বার্ষিক পরীক্ষা থাকায় শিক্ষকরা বিদ্যালয়ে উপস্থিতি বাড়ানোর জন্য শিক্ষার্থীদের চাপ সৃষ্টি করলেও সন্তোষজনক সাড়া পাচ্ছেন না। পচা দুর্গন্ধ হতে রক্ষা পেতে শিক্ষার্থীরা ক্লাসে নাক-মুখে রুমাল ব্যবহার করতে দেখা গেছে। দুর্গন্ধের প্রতিকার চেয়ে প্যারাগণ কোম্পানির নিকট আবেদন করলেও কোনো সাড়া মিলেনি।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনিন্দ্র চন্দ্র দাসসহ স্থানীয় জনগণ দুর্গন্ধ বন্ধের প্রতিকার ও কোমলমতি শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার সুষ্ঠু পরিবেশের দাবিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট একটি আবেদন করেছেন। এ সমস্যাটি প্রায় তিন/চার মাস ধরে। পবিত্র রমজান উপলক্ষে বিদ্যালয় বন্ধ থাকলেও স্কুল খোলার আগে সমস্যাটির স্থায়ী কোনো সমাধান না হলে বিদ্যালয়টিতে শিক্ষার্থী শূন্য হয়ে পড়বে। প্যারাগণ কোম্পানির সহকারী পরিচালক মোঃ জাহাঙ্গীর আলম জানান, জৈব সার তৈরির সময় নিঃসৃত গ্যাস দুর্গন্ধ ছড়ায়। তবে বর্তমানে অনেকটা নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রয়েছে। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এ কে এম শামসুল হক বলেন, তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।