গোদাগাড়ীর শিক্ষা কর্মকর্তা জেলে

রাজশাহী প্রতিনিধি |

সমাপনী বৃত্তির ফল জালিয়াতির অভিযোগে কারাগারে পাঠানো হয়েছে রাজশাহীর গোদাগাড়ী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রাখি চক্রবর্তীকে। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় রোববার বিকেলে তাকে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে নেয়া হয়।

এর আগে সকালে রাজশাহী মহানগর দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন রাখি চক্রবর্তী। এ সময় বিচারক আকতার উল আলম তার আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

জানা গেছে, ২০১৫ সালে শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় ৪০ শিক্ষার্থীর নম্বর বাড়িয়ে বৃত্তি পাইয়ে দেন কর্মকর্তারা। বিষয়টি ফাঁস হলে বিক্ষুদ্ধ হয়ে ওঠে অভিভাবক মহল। এ নিয়ে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হলে তদন্তে নামে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় গত ২১ আগস্ট দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক তরুণ কান্তি ঘোষ নগরীর রাজপাড়ায় থানায় মামলা দায়ের করেন। ওইদিনই গ্রেফতার হন মামলার প্রধান আসামি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল কাশেম। খবর পেয়ে আত্মগোপন করেন মামলার অন্য দুই আসামি তৎকালীন বোয়ালিয়া প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রাখী চক্রবর্তী ও কম্পিউটার অপারেটর সোনিয়া খাতুন।

আত্মগোপনে থেকে গত ২৩ আগস্ট উচ্চ আদালত থেকে জামিন নেন রাখী চক্রবর্তী। ২০১৬ সালে রাখী চক্রবর্তীকে গোদাগাড়ী উপজেলায় শিক্ষা কর্মকর্তা হিসেবে বদলি করা হয়। উচ্চ আদালতের জামিন শেষে রোববার আদালতে হাজির হন তিনি। ওই মামলায় গত ১১ সেপ্টেম্বর আবুল কাশেম জামিনে মুক্তি পেয়েছেন।

এর আগে বৃত্তি জালিয়াতির অভিযোগ তদন্ত করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর। সত্যতা পাওয়ায় ওই তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হয়। সাময়িক বরখাস্ত করা হয় জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল কাশেমকে।

তবে গত ৮ আগস্ট প্রত্যাহার করা হয় সেই আদেশ। এরপর তাকে চট্টগ্রাম জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে সংযুক্ত করে অধিদফতর। আবুল কাশেমের বাড়ি রাজশাহী নগরীর ভদ্রা এলাকায়।

নাম প্রকাশ না করে স্থানীয় কয়েকজন শিক্ষক অভিযোগ করেন, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা হিসেবে যোগদানের পর থেকেই নানা অনিয়মে জড়িয়ে পড়েন আবুল কাশেম। ঘুষ না দেয়ায় হয়রানির শিকার হতে হয়েছে শিক্ষকদের। একই অভিযোগ উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রাখী চক্রবর্তীর বিরুদ্ধেও।

কিন্তু অনিয়ম করেও বার বার পার পেয়ে যাচ্ছেন তারা। পরে জালিয়াতির মাধ্যমে বৃত্তি পাওয়া ৪০ শিক্ষার্থীর ফল বাতিল করা হয়। তাদের স্থলে নতুন ৪০ জনকে বৃত্তি দেয়া হয়েছে। আরও ২২ জনের সংশোধিত ফলাফল প্রকাশ করে প্রাথমিক শিক্ষা অফিস। সেই সঙ্গে বৃত্তি বাতিল করা এই ৪০ শিক্ষার্থীকে ট্রেজারি চালানের মাধ্যমে বৃত্তি বাবদ উত্তোলিত অর্থ সংশ্লিষ্ট খাতে জমা করতে বলা হয়।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
ছুটি না বাড়ালে বাড়ি যেতে হতে পারে ঈদের দিন - dainik shiksha ছুটি না বাড়ালে বাড়ি যেতে হতে পারে ঈদের দিন হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী - dainik shiksha হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী জালিয়াতি করে পদোন্নতি শিক্ষা ক্যাডার গ্যাঁড়াকলে - dainik shiksha জালিয়াতি করে পদোন্নতি শিক্ষা ক্যাডার গ্যাঁড়াকলে রুয়েটের সাবেক উপাচার্য-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে মামলা - dainik shiksha রুয়েটের সাবেক উপাচার্য-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে মামলা উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি - dainik shiksha প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী - dainik shiksha হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0049979686737061