কথাকাটাকাটির জের ধরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় উভয় পক্ষ থেকে তিন রাউন্ড গুলিবিনিময় হয়ে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে লাঠিচার্জ ও ছয় রাউন্ড টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে। এ সময় ছয়জন আহত হয়। গতকাল সোমবার বিকাল তিনটার দিকে শাহজালাল ও শাহ আমানত হলের সামনে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে তিন জনকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অন্য তিন জনকে চবি মেডিক্যাল সেন্টারে চিকিত্সা দেওয়া হয়েছে।
আহতরা হলেন- কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সদস্য মোয়াজেম জেমস ও বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক উপ-আপ্যায়ন বিষয়ক সম্পাদক সায়ন দাশগুপ্ত। তারা আওয়ামী লীগ নেতা মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী। অন্যদিকে আহত তানজিল হ্নদয় সিক্সিটি নাইন গ্রুপের কর্মী ও সিটি মেয়রের অনুসারী। এ ছাড়া নৃ-বিজ্ঞান বিভাগের ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী তানবির রহমান, হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী সাইফুল ইসলাম, ইতিহাস বিভাগের ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী জয়।
জানা যায়, সংঘর্ষের সময় শাহজালাল হল থেকে দুই রাউন্ড ও শাহ আমানত হল থেকে এক রাউন্ড গুলি ছোড়া হয়। একপর্যায়ে সিক্সিটি নাইনের কর্মীরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে শাহ আমানত হলের সামনে গেলে সিএফসি নেতাকর্মীরা তাদের ধাওয়া দেয়। সিক্সিটি নাইন গ্রুপের নেতা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আলমগীর টিপু বলেন, সিএফসি গ্রুপের নেতাকর্মীরা আমাদের ওপর আগে হামলা চালিয়েছে। সিএফসি গ্রুপের নেতা ও বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি রেজাউল হক রুবেল বলেন, পুরো নাছির গ্রুপের নেতাকর্মীরা আমাদের ওপর পরিকল্পিতভাবে হামলা চালিয়েছে। সহকারী প্রক্টর লিটন মিত্র বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সংঘর্ষের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।