কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের ১৬১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। বুধবার মধ্যরাতে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ কমিটি ঘোষণা করা হয়।
গত ২৮ মে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়। এদিকে, ছাত্রত্ব বহু আগে শেষ হয়েছে এমন বেশ কয়েকজনও রয়েছেন পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে।
এছাড়া বিভিন্ন সময়ে শিক্ষক ও সাংবাদিক লাঞ্ছনা, দলীয় নেতাকর্মীদের মারধর, চাঁদাবাজির অভিযোগসহ অনেকের বিরুদ্ধেই মাদক সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ রয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শাখা ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে সহ-সভাপতি পদে ৪০ জন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক পদে ৯ জন, সাংগঠনিক সম্পাদক ৯ জন, সহ-সম্পাদক ৩৭ জন, সদস্য ২১ জনসহ বিভিন্ন পদে মোট ১৬১ জন শিক্ষার্থীকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
এদিকে, গত ২৮ মে ঘোষিত আংশিক কমিটির ২ জন সহ-সভাপতি এবং ১ জন যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদককে পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে রাখা হয়নি।
জানা যায়, ৪০ জন সহ-সভাপতির মধ্যে ৯ জনেরই ছাত্রত্ব অনেক আগেই শেষ হয়েছে। এদিকে কমিটিতে স্থান পাওয়া বেশ কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধে শিক্ষক ও সাংবাদিক লাঞ্ছনা, শিক্ষার্থীদের মারধর এবং চাঁদাবাজির অভিযোগ রয়েছে।
এর মধ্যে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদ পাওয়া বায়েজিদ ইসলাম গল্পের বিরুদ্ধে চলতি বছরের ২৬ জানুয়ারি এক শিক্ষককে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ রয়েছে।
ওই ঘটনায় গল্পকে ৫ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছিল। সহ-সভাপতি পদ পাওয়া দ্বীন ইসলাম লিখন এবং একই পদে থাকা আরাফত হোসেনের বিরুদ্ধে গত ১৩ মে শাখা ছাত্রলীগের বার্ষিক সম্মেলনে বেশ কয়েকজন সাংবাদিক নেতাকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ রয়েছে। ওই ঘটনায়ও ছাত্রলীগের কেন্দ্র থেকে ঘটনার দিন রাতেই এদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছিল।
সাংগঠনিক সম্পাদক পদে থাকা সাইফুল হাসান সাদী ও গোলাম দস্তগীর ফরহাদের বিরুদ্ধে ৫ নভেম্বর এক ছাত্রকে মারধর করে চাঁদাবাজি করার অভিযোগ রয়েছে।
এছাড়া সাদীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে সাংবাদিকদের হুমকি এবং সাধারণ শিক্ষার্থীদের মারধরের অভিযোগ রয়েছে। জানা যায়, সাদী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল ইসলাম মাজেদের একমাত্র অনুসারী।
এছাড়া পাঠাগার বিষয়ক সম্পাদক ইমাম হোসেন প্রতিক্রিয়াশীল রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন বলে দলীয় নেতাকর্মীরাই অভিযোগ করেন। এছাড়া বেশ কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধে মাদক সংশ্লিষ্টতা, দলীয় নেতা-কর্মীকে মারধর, জুনিয়র শিক্ষার্থীকে র্যাগের নামে হয়রানি করাসহ বেশ কয়েকটি অভিযোগ রয়েছে।
এ বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইলিয়াস হোসেন সবুজ বলেন, আমরা যাচাই-বাছাই করে কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে সুপারিশ করেছি।
ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন বলেন, আমরা যাচাই-বাছাই করে কমিটি দিয়েছি। কারও বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ আমরা পাইনি। এমন অভিযোগ থাকলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।