বেসরকারি রেজিস্টার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণের শর্ত পূরণ করতে পটুয়াখালীর বাউফলে হাইস্কুলের ভাড়াটে শিক্ষার্থীদের দিয়ে প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা দেওয়ানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। বাউফল উপজেলার নাজিরপুরের বিদ্যাসুন্দর রেজিষ্ট্রার প্রাথমিক বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা গেছে, প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় অংশ নিতে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পাশের এক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ ও ৭ম শ্রেণির ৭ জন শিক্ষার্থীকে ভাড়া করেন। গত মঙ্গলবার পর্যন্ত সমাপনী পরীক্ষায় অংশ নেয় ওইসব ভাড়াটে শিক্ষার্থীরা।
এরপর বিষয়টি জানাজানি হয়ে গেলে আজ বুধবার পরীক্ষায় অংশ নেয়নি তারা। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, ম্যানিজিং কমিটির সভাপতি ও সংশ্লিষ্ট ক্লাস্টারের এটিওর (সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা) যোগসাজসে ভাড়াটে শিক্ষার্থী দিয়ে পিএসসি পরীক্ষা নেয়ার কথা জানা যায়।
আজ বুধবার বেলা ১১টার দিকে সরেজিমনে নাজিরপুর ছোট-ডালিমা মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরীক্ষা কেন্দ্রে দেখা যায়, হলের নির্ধারিত কক্ষের ওইসব ভাড়াটে শিক্ষার্থীদের নির্ধারিত আসনগুলো শূন্য পড়ে রয়েছে।
এ সময় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পাশের এক স্কুলের সহকারি শিক্ষক জানান, বেসরকারি রেজিস্টার প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণের বিধিমালায় থাকা শর্ত পূরণ করতেই ভাড়াটে শিক্ষার্থীদের দিয়ে ওই স্কুল কর্তৃপক্ষ সমাপনী পরীক্ষা নিচ্ছে।
এ ব্যাপারে ওই কেন্দ্রের সচিব মো. মাহবুববুর রহমান বলেন, ওইসব আসনের শিক্ষার্থীরা কেন পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেনা তা আমার জানা নেই ।
এ ব্যাপারে বিদ্যাসুন্দর রেজিষ্টার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাজীবের সঙ্গে মোবাইল ফোনে বিষয়টি জানতে চাইলে ব্যস্ততার অজুহাতে পরে কথা বলার কথা বলে ফোন কেটে দেয়। এরপর একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এ ব্যাপারে ওই ক্লাস্টারের সহকারি শিক্ষা কর্মকর্তা সুজন হাওলাদার বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছুই জানিনা।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. রিয়াজুল হকের মোবাইল ফোনে কল দেয়া হলেও রিসিভ করেননি তিনি।
জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মাদ আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জামান বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।