জাতীয়করণের জন্য ১ম, ২য় ও ৩য় ধাপে অধিগ্রহণকৃত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের আত্তীকরণের লক্ষ্যে জেলা ও উপজেলা যাচাই বাছাই কমিটির পূরণকৃত ছক পুনরায় পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
১২ই নভেম্বর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব পুলক রঞ্জন সাহা স্বাক্ষরিত এক আদেশে এ তথ্য জানা যায়। আদেশে বলা হয়, ২০১৩ খ্রিস্টাব্দে প্রস্তুতকৃত ১ম, ২য় ও ৩য় ধাপে অধিগ্রহণকৃত বিদ্যালেয়ের জেলা ও উপজেলা যাচাই বাছাই কমিটি কর্তৃক পূরণকৃত মূল ছক (ক, খ, গ ও ঘ) অথবা মূল ছকের অতিরিক্ত কপি না থাকলে মূল অফিস কপির ছায়ালিপি মন্ত্রণালয়ে পুনরায় প্রেরণ করতে হবে। আগামী পনের কার্য দিবসের মধ্যে জেলা/উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা কর্তৃক সত্যায়িত করে ওই ছক পাঠানোর নির্দেশ দেয়া হয়।
তবে আদেশে বলা হয়, আগে যেভাবে পাঠানো হয়েছিল সেভাবেই ছক পাঠাতে হবে। কোন প্রকার পরিবর্তন, পরিমার্জন বা ঘষামাজা করা যাবে না। এরকম হলে তার জন্য দায়ী থাকবেন সংশ্লিষ্ট জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তারা।
যেসব প্রতিষ্ঠানকে ছক প্রেরণ করতে বলা হয়েছে তার ২০ পৃষ্ঠার একটি তালিকাও দিয়েছে মন্ত্রণালয়। তালিকায় থাকা বেশিরভাগ বিদ্যালয়ই ৩য় ধাপে অধিগ্রহণকৃত। এছাড়া শিক্ষকদের আত্তীকরণের লক্ষ্যে তালিকায় বিভিন্ন জেলার এমপিওভুক্ত কমিউনিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ও রয়েছে। এসব নন-এমপিও শিক্ষকরা ২০০৯ খ্রিস্টাব্দের ৩০শে জুলাইয়ের আগে নিয়োগ পাওয়া।
গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একাধিক সূত্র দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, আগের পাঠানো ছকে সমস্যা ও সন্দেহ থাকায় এসব বিদ্যালয়ের কাছ থেকে নতুন করে ছক চাওয়া হয়েছে। তবে ২০১৩ খ্রিস্টাব্দে যেভাবে পাঠানো হয়েছে ঠিক সেভাবেই পাঠাতে হবে। ঘষামাজা করে কোন ধরনের পরিবর্তন গ্রহণযোগ্য নয়।
তবে, ভিন্নমতও পোষণ করেছেন অভিজ্ঞ শিক্ষক নেতারা। তারা দৈনিকশিক্ষাডটকমকে বলেছেন, নতুন করে তথ্য পাঠানোর সময় দুই নম্বরি হওয়ার সুযোগ রয়েছে।