শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণের দাবী আদায়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী ও স্বাধীনতার স্বপক্ষের সমমনা ৭টি শিক্ষক সংগঠনের জোটে শরীক হতে যাচ্ছে আরো তিনটি কর্মচারি সংগঠন। সোমবার (১৩ নভেম্বর) ঢাকাস্থ হাবিবুল্লাহ বাহার ইউনিভার্সিটি কলেজ এর সভাকক্ষে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বাংলদেশ শিক্ষক সমিতির সভাপতি মুহাম্মদ আবু বকর সিদ্দিক সভাপতিত্ব এবং বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ মোঃ আবুল কাশেম এর সঞ্চালনা করেন। সভায় নতুন যুক্ত হওয়া তিন সংগঠনের নেতৃবৃন্দও উপস্থিত ছিলেন। সমিতির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে।
সংগঠন: বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি (বিটিএ), বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক সমিতি (আসাদুল হক-ফয়েজ হেসেন), বাংলাদেশ কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি (বাকবিশিস), বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি (আউয়াল-বিলকিস), বাংলাদেশ জমিয়তুল মোদারেছিন, বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি (আজিজুল ইসলাম-মহসীন), বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষক সমিতি (সাত্তার-মোঃ আলী) এবং শরীক হতে ইচ্ছুক তিনটি সংগঠন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ৭ মার্চের ভাষনটি ইউনেস্কো স্বীকৃতি দেয়ায় ইউনেস্কোকে সর্বসম্মতিক্রমে ধন্যবাদ জানান।
সভায় নেতৃবৃন্দ বলেন, শিক্ষা ও শিক্ষক-কর্মচারিদের বৃহত্তর স্বার্থে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী ও স্বাধীনতার স্বপক্ষের শিক্ষক সংগঠনগুলো ঐক্যবদ্ধ থাকার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন এবং আন্দোলনের রূপরেখা তৈরিসহ দ্রুততম সময়ের মধ্যে দাবীনামা চূড়ান্ত করার জন্য বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ মোঃ আবুল কাশেম কে আহবায়ক ও অন্যান্য সংগঠনের সাধারণ সম্পাদকদের সদস্য করে একটি উপকমিটি গঠন করা হয়।
সভায় ইতোমধ্যে অপরাপর অনেক শিক্ষক সংগঠন শরীক হওয়ার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তাদের অন্তর্ভূক্তির বিষয়ে সাত সংগঠনের সভাপতি ও সম্পাদকদের দায়িত্ব দেয়া হয় এবং সতর্ক করিয়ে দেয়া হয় যে, জোটে শরীক হওয়ার পর যেন আন্দোলনকে নস্যাৎ করতে না পারে। নেতৃবৃন্দ দৃঢ়তার সাথে ঘোষণা করেন যে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী নয় এমন কোন শিক্ষক-কর্মচারি সংগঠনকে জোটে অন্তর্ভূক্ত করা হবে না। নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, ঔপনিবেশিক কাল থেকে শিক্ষা ক্ষেত্রে সরকারি ও বেসরকারি বৈষম্য চলে আসছে। নতুন করে বিচ্ছিন্নভাবে কিছু কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ করায় শিক্ষা ক্ষেত্রে বৈষম্য তৈরি হচ্ছে। এ অবস্থা চলতে দেয়া যায় না। যত দ্রুত সম্ভব সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে কর্মসূচি ঘোষণা করার জন্য সর্বসবমত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভায় একমাত্র দাবী “শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণ” নিয়ে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলার জন্য দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়। তবে ২০১৫ থেকে পেস্কেল প্রদান করা হলেও ৫% বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি, বৈশাখি ভাতা, বাড়ি ভাড়া, পূর্ণাঙ্গ উসব ভাতাসহ ন্যায্য পাওনা আদায় ও সকল প্রকার অসঙ্গতি দূর করার জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু তনয়া মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর নিকট উদাত্ত আহবান জানান।
উপস্থিত নেতৃবৃন্দের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যক্ষ এম. এ. আউয়াল সিদ্দিকী, বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ ফয়েজ হোসেন, বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক বিলকিস জামান, বাংলাদেশ জমিয়তুল মোদারেছিন এর মহাসচিব শাব্বির আহমদ মোমতাজী, বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ মোহাম্মদ আলী চৌধুরী, বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সহ সভাপতি রঞ্জিত কুমার সাহা, বাংলাদেশ কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সহ সভাপতি ড. আজিজুর রহমান, বাংলাদেশ কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সহ সভাপতি অধ্যক্ষ আবুবকর চৌধুরী, বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সহ সভাপতি অধ্যক্ষ মোঃ বজলুর রহমান মিয়া, বাংলাদেশ কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির যুগ্ম সম্পাদক মোঃ মিজানুর রহমান মজুমদার, বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ কাওছার আলী শেখ প্রমূখ শিক্ষক নেতৃবৃন্দ।