সরকারেরর উন্নয়ন পরিকল্পনা এবং নির্বাচনী ইশতেহার মোতাবেক ২৮৩টি কলেজ জাতীয়করণের ঘোষণা হয়। এখন চলতি বিধিমালা অনুসারে যোগ্য শিক্ষকদের ক্যাডারভুক্ত করার বিধান আছে। এতে বাধা প্রদান করছেন কিছু ‘অনিচ্ছাকৃত শিক্ষক’ অর্থাৎ প্রথম পছন্দক্রমানুসারে যারা শিক্ষকতাকে পেশা হিসেবে নেননি। কিংবা বিকল্প উপায় না থাকায় যারা শিক্ষক হয়েছেন। তাদের পেশার প্রতি সম্মান না থাকারই কথা।
এদের শিক্ষকতার প্রতি কোন মনোযোগ নেই। কারণ, শিক্ষকতাকে পেশা হিসেবে নিতে প্রথম পছন্দ ছিল না। এদের সংখ্যা খুব বেশি নয়। (কিছু ব্যতিক্রম আছে যারা সরকারের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে) শিক্ষার ইতিহাসে এরা কলঙ্কজনক ইতিহাস রচনা করে যাচ্ছেন। কাজেই নিজ পেশার হাজারো সমস্যা এরা চোখে দেখে না। নিজের পেশাগত দক্ষতা অর্জনে নানাবিধ সমস্যা আছে। এসব সমস্যা সমাধানে সোচ্চার হতে পারেনা। এখানে তারা নীরব।
শিক্ষার গুণগত পরিবর্তনে কাজ করার জন্য অনেক ধরনের সুযোগ আছে। সেদিকে মনোযোগ নেই। তাদের অনেক ধরণের দাবি আদায়ের জন্য আন্দোলনে সক্রিয় হতে পারে। কিন্তু তা লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। অধিকার আদায়ে আলোচনা সমালোচনা থেকে অনেক কিছু ইতিবাচক সাড়া আসতে পারে। সে দিকেও মন নেই। নিজেদের মর্যাদা বৃদ্ধিকল্পে আদর্শিক আন্দোলনের জন্য ঐক্য করে তুলতে পারে। কিন্তু তারা তা করছে না।
অপরদিকে সরকারের উত্তম পরিকল্পনা ও সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বিচ্ছিন্নভাবে এরা সোচ্চার। সরকার নির্বাচনী ইশতেহার অনুসারে শিক্ষার উন্নয়নে বদ্ধপরিকর। এ লক্ষ্যে সাধ্যমত উন্নয়ন কাজ করে যাচ্ছে। ভিশন ২০২১ সফল করার মাধ্যমে প্রিয় বাংলাদেশকে উন্নত আয়ের দেশে পরিনত করতে যাচ্ছে। এজন্য শিক্ষার বৈষম্য রোধকল্পে শিক্ষার উন্নয়নে অনেক ধরণের কাজ হাতে নিয়েছে। দেশের সকল প্রাথমিক বিদ্যালয় সরকারি করায় এর সুফল আমাদের সবার। দেশের উন্নয়ন ধারাকে গতিশীল করতে এবং টেকসই উন্নয়নের জন্য শিক্ষার উন্নয়নের বিকল্প নেই।
যেসব উপজেলায় সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও সরকারি কলেজ নেই। সেই সমস্ত উপজেলায় কলেজ সরকারি করার ঘোষণা দিয়েছেন। এ কারণে দেশবাসী বিপুল উৎসাহ উদ্দিপনাসহ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেন। সরকারি সুযোগ সুবিধা পেয়ে সকলেই পড়ালেখা করতে পারবে। এতে সাধারণ মানুষ অনেক খুশি। খুশি হতে পারেনি কতিপয় ‘অনিচ্ছাকৃত শিক্ষক’। এরা মুলত জাতীয়করণের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিল। সেখানে সফল না হয়ে ক্যাডার মর্যাদার বিপক্ষে অবস্থান নিচ্ছে। এখন সর্বসাধারণেরর প্রশ্ন ক্যাডার করবে কে? সরকার নাকি কোনও সমিতি! শিক্ষকদের যথাযথ মর্যাদা তথা ক্যাডার মর্যাদা সহ ঘোষণাকৃত ২৮৩ কলেজের দ্রুত সরকারি আদেশ জারির দাবি জানাচ্ছি। সেই সাথে কতিপয় অনিচ্ছাকৃত শিক্ষকদের অনৈতিক কর্মকাণ্ড সরকারের সিদ্ধান্ত পরিপন্থী কিনা? তা অভিজ্ঞ মহলকে ভেবে দেখার অনুরোধ জানাচ্ছি।
এ এস এম রবিউল ইসলাম রয়েল: প্রভাষক, আদিতমারী, লালমনিরহাট।
[মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন]