জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক পরীক্ষায় ফল বিভ্রাটের অভিযোগ উঠেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৫ সালে অনুষ্ঠিত স্নাতক (সম্মান) পরীক্ষায় ব্যবস্থাপনা বিভাগের ‘প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট’ বিষয়ের ফলাফলে এই অভিযোগ উঠে।
গ্রেড পয়েন্ট ৩-এর ওপরে পেয়েও একাধিক শিক্ষার্থী একটি বিষয়ে অকৃতকার্য হয়েছে। তবে শিক্ষার্থীদের দাবি তারা কোনভাবেই অকৃতকার্য হতে পারেন না। ঢালাও ভাবে ভালো ছাত্রদের ফেল করা স্বাভাবিক ব্যাপার হতে পারে না।
নরসিংদী সরকারি কলেজের একাধিক শিক্ষার্থী এ সমস্যায় পড়েছেন। এই কলেজের হাসিবুর রহমান স্নাতক (সন্মান) ফাইনাল পরীক্ষায় পেয়েছেন ৩ দশমিক ০৩, কিন্তু প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট বিষয়ে ফেল করেছেন। মবিনুর রহমান ৩ দশমিক ০৮, সাইফুল ইসলাম ৩ দশমিত ১৫, মো. পাভেল মিয়া ৩ দশমিক ১৩, তাপস ধর ৩ দশমিক ২৩ পেয়েছেন, রাকিব হোসেন ৩ দশমিক ১৮ পেয়েছেন। কিন্তু এরা প্রত্যেকেই একই বিষয়ে ফেল করেছেন।
নারায়ণগঞ্জ কলেজের বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীদেরও একই অবস্থা। তাঁদের ফলাফল থেকে দেখা যায় যে, মো. নুরুজ্জামান গ্রেড পয়েন্ট ৩ পেয়েছেন, কিন্তু প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট বিষয়ে ফেল করেছেন। শম্পা রানী পাল তিনি ৩ দশমিক ০৩, সাবিহা আক্তার ৩ দশমিক ০৫ পেয়েছেন কিন্তু একই বিষয়ে ফেল।
এ ছাড়া অনেক শিক্ষার্থীদের ফলাফল থেকে দেখা যায় তাঁরা ২.৮০, ২.৯৫,২.৮৩, অর্থাৎ তাদের ৩.০০ এর কাছাকাছি পেয়েছেন। প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্টে কোন মতে পাস করতে পারলেও তাঁরা ফার্স্ট ক্লাস পেয়ে যাবেন।
এ বিষয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. বদরুজ্জমান বলেন, ‘প্রতি বছর ফলাফল প্রকাশের পর এমন অনেক অভিযোগ আসে, সব সময়ই আসে। পরীক্ষার পর কে কোন কলেজের শিক্ষার্থী সেটাও আমরা জানি না। আমি যদি চাইও একটা ছেলেকে ফেল করিয়ে দেব, সে রকম কোনো সুযোগ নেই।’