শুদ্ধভাবে জাতীয় সংগীত গাওয়া এবং দেশের সব প্রতিষ্ঠানে জাতীয় সংগীত চর্চাকে অনুপ্রাণিত করার লক্ষ্যে দেশব্যাপী প্রতিটি স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ২০শে জানুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে জাতীয় সংগীত পরিবেশনা প্রতিযোগিতা শুরু। প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে অর্থাৎ আন্তঃশ্রেণি প্রতিযোগিতার আয়োজন আগামী ৩১শে জানুয়ারির মধ্যে শেষ করতে প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে নির্দেশনা দিয়েছে শুদ্ধভাবে জাতীয় সংগীত পরিবেশন প্রতিযোগিতা আয়োজন সমন্বয় কমিটি।
১৬ই জানুয়ারি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের উপসচিব মোঃ সারওয়ার হোসেন স্বাক্ষরিত এক চিঠি থেকে এ খবর জানা গেছে।
ইউনিয়ন পর্যায়ে ১ থেকে ৭ই ফেব্রুয়ারি, উপজেলায় পর্যায়ে ১০থেকে ১৫ই ফেব্রুয়ারি, জেলা পর্যায়ে ২২ থেকে ২৮শে ফেব্রুয়ারি, বিভাগীয় পর্যায়ে ৫ থেকে ১১ই মার্চ এবং ১৫ থেকে ২০শে মার্চ জাতীয় পর্যায়ে অনুষ্ঠিত হবে চূড়ান্ত প্রতিযোগিতা। চূড়ান্ত পর্যায়ে প্রতিযোগিতার সব ধরনের কার্যক্রম বাস্তবায়নের দায়িত্বে থাকবে মন্ত্রীপরিষদ বিভাগ। এরপর ২৬শে মার্চ বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক সালাম গ্রহণকালে সারাদেশে ও প্রবাসে একযোগে জাতীয় সংগীত পরিবেশনা করা হবে।
গত ১১ই জানুয়ারি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের বিধি অধিশাখায় জাতীয় সংগীত পরিবেশনা প্রতিযোগিতা সম্পর্কে একটি পরিপত্র জারি করা হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ওই পরিপত্রে বলা হয়, শুদ্ধভাবে জাতীয় সংগীত গাওয়া এবং সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জাতীয় সংগীত চর্চাকে অনুপ্রাণিত করার লক্ষ্যে সরকার দেশব্যাপী প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রত্যেক শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে দলগত জাতীয় সংগীত পরিবেশন প্রতিযোগিতা আয়োজনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা পর্যায়ে দেশের প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আঃন্তশ্রেণি প্রতিযোগিতার মাধ্যমে শুরু হয়ে ইউনিয়ন, উপজেলা, জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে এ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। বিভাগীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ দল নির্বাচন করা হবে। প্রতিটি পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ তিনটি দলকে পুরস্কৃত করা হবে।