রাজধানীর বিভিন্ন থানার অধীনে থাকা অধিকাংশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক কর্মচারিরা জুন মাসের বেতন এখনো পাননি বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মতিঝিল, সূত্রাপুর, লালবাগ, ডেমরা, কোতয়ালীসহ রাজধানীর বিভিন্ন থানার সরকারি প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষকরা এ অভিযোগ করেন। এক্ষেত্রে ওই শিক্ষকরা বিলম্বের জন্য প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রধান হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা এবং থানা শিক্ষা কর্মকর্তাদের গাফিলতি আছে বলে মনে করেন।
অভিযোগকারীরা দাবী করেন জুলাই মাসের ২০ তারিখের মধ্যে আমাদের বেতন দেবার কথা থাকলেও আজও বেতন পাইনি। ঈদের আগে আর এ বেতন পাওয়া কোন ভাবেই সম্ভব নয়। কারণ ইতিমধ্যেই সরকারি ব্যাংক বন্ধ হয়ে গেছে। তাই আমাদের আর এবার ঈদ উৎসব পালন করা হচ্ছে না। তবে শিক্ষকরা ঈদ বোনাসের টাকা পেয়েছেন বলে জানা গেছে।
শিক্ষকদের বেতনের বিষয়ে অভিযোগ স্বীকার করে সূত্রাপুর থানা শিক্ষা কর্মকর্তা বলেন, আমার থানার অধীনে থাকা স্কুলগুলোর শিক্ষকরা জুন মাসের বেতন তুলতে পারেননি। তবে এক্ষেত্রে আমাদের কোন গাফিলতি নেই। ২০ তারিখের মধ্যে অর্থ ছাড়ের কথা থাকলেও মন্ত্রণালয়ের হিসাব রক্ষণ বিভাগ থেকে এ অর্থ ছাড় হয় ২২ তারিখ। আর অর্থ ছাড়ের সাথে সাথে আমরা তা ব্যাংকে পাঠিয়ে দিয়েছি।
এ বিষয়ে মতিঝিল থানা শিক্ষা কর্মকর্তা খুরশিদ আরা বলেন, ২২শে জুলাই বৃহস্পতিবার শিক্ষকদের বিলের টাকা আমার অ্যাকাউন্টে জমা হয়েছে। এখন বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে আমাকে একটা ক্লিয়ারেন্স নিতে হবে এবং আমাকে একটা স্টেটমেন্ট দিতে হবে। এরপর শিক্ষকরা বেতনের টাকা তুলতে পারবেন। তবে এ প্রক্রিয়া কমপক্ষে দুইদিনের আগে সম্পন্ন করা সম্ভব নয়। তবে তারা বেতন পেয়ে যাবে।
কিন্তু ঈদের আগে শিক্ষক কর্মচারিরা বেতন তুলতে পারবেন কিনা এ বিষয়ে নিশ্চিত নন খুরশিদ আরা।
ঈদের আগে ঢাকা মহানগরীর এসব শিক্ষকদের বেতন তুলতে না পারার বিষয়ে শিক্ষক নেতা ও প্রাথমিক শিক্ষক অধিকার সুরক্ষা ফোরামের আহবায়ক সিদ্দিকুর রহমান ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ঢাকা শহরের প্রাথমিক শিক্ষকরা জুন ২০১৭ খ্রিস্টাব্দের বেতন তুলতে না পারায় অনেকটা বাতির নিচে অন্ধকার প্রবাদের মত অবস্থা। যেখানে সারাদেশের প্রাথমিক শিক্ষক ও কর্মচারিরা একযোগে জুন মাসের বেতন তুলে ঈদ আনন্দ উপভোগ করছে সেখানে কর্মকর্তাদের অবহেলায় এই বঞ্চিত শিক্ষকদের ঈদ আনন্দ মাটি করার বিষয়ে সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের শাস্তি দাবী করছি। বিগত সময়েও প্রাথমিক শিক্ষকদের বেতন নিয়ে গড়িমসি লক্ষ্য করা গেছে।