ঢাকার ম্যাপললিফ স্কুলের অধ্যক্ষের আদালতে হাজিরা

নিজস্ব প্রতিবেদক |

ঢাকার ধানমণ্ডি আবাসিক এলাকা থেকে ম্যাপললিফ স্কুল না সরানোয় আদালতের তলবে হাজিরা দিয়েছেন অধ্যক্ষ আলী কারাম রেজা।

পরে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে তাকে অব্যাহতি দিয়ে বিষয়টি শুনানির জন্য তারিখ নির্ধারণ করে দেয় বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের হাই কোর্ট বেঞ্চ।

মঙ্গলবার (০৫ ডিসেম্বর) আদালতে অধ্যক্ষ আলী কারাম রেজার পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী নুরুল ইসলাম সুজন। আবেদনের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ।

মনজিল মোরসেদ সাংবাদিকদের বলেন, ম্যাপললিফ অধ্যক্ষের হাজিরা ছিল ১২ ডিসেম্বর। কিন্তু তখন তিনি দেশে থাকবেন না বলে আবেদন করে আগেই হাজিরা দেন।

“আদালতের আদেশের পরও স্কুলটি না সরানোর ব্যাখ্যায় তিনি (অধ্যক্ষ আলী কারাম) বলেছেন, তিনি মনে করেছেন আদালত একটি ক্যাম্পাস সরাতে বলেছে এবং একটি ক্যাম্পাস তারা সরিয়েছেন। তখন আমি আদালতে বলেছি, একটি নয় সবকটি ক্যম্পাস সরাতে হবে।”

এরপর আদালত তাকে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি দিয়ে এ বিষয়ে বিস্তারিত শুনানির জন্য অবকাশকালীন ছুটির এক সপ্তাহ পর সময় রেখেছে বলে জানান মনজিল।

ধানমণ্ডি আবাসিক এলাকার বৈশিষ্ট্য রক্ষার নির্দেশনা চেয়ে সেখানকার দুই বাসিন্দা এম এ মাসুদ এবং এম এ মতিন হাই কোর্টে ২০১১ সালের রিট আবেদন করেন।

শুনানি নিয়ে ওই বছরের ২ ফেব্রুয়ারি হাই কোর্ট রুল জারি করে। একইসঙ্গে ধানমণ্ডি আবাসিক এলাকায় নতুন স্কুল, কলেজ, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান স্থাপন ও অনুমোদনের ওপর অন্তর্বর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়।

রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০১২ সালের ১১ জুন এ রায় দেয় আদালত। রায়ে তিন বছরের মধ্যে ধানমণ্ডি আবাসিক এলাকা থেকে অননুমোদিত বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলো সরিয়ে নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়।

তবে ইতোপূর্বে বাণিজ্যিক এলাকা হিসেবে ঘোষণা করায় ধানমন্ডি-২, ২৭ নম্বর সড়ক, সাত মসজিদ ও মিরপুর সড়কের বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হবে না।

হাই কোর্টের এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের আবেদন করে ইংরেজি মাধ্যমের স্কুল ম্যাপললিফ ইন্টারন্যাশনাল। কিন্তু ২০১৬ সালের ১ আগস্ট সে আবেদন খারিজ হয়ে যায়।

এরপর রায় কার্যকর না হওয়ায় আদালত অবমাননার আবেদন করে আইনজীবী আসাদুজ্জামান সিদ্দিকী।

সে আবেদনের শুনানি নিয়ে গত ৩১ মে বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি আশীষ রঞ্জন দাসের হাই কোর্ট বেঞ্চ ম্যাপললিফের অধ্যক্ষকে তলব করে।

পাশাপাশি রুল জারি করে জানতে চাওয়া হয়, আদালত অবমাননার দায়ে কেন তাকে অভিযুক্ত করা হবে না।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
হাইকোর্টের আদেশ পেলে আইনি লড়াইয়ে যাবে বুয়েট: উপ-উপাচার্য - dainik shiksha হাইকোর্টের আদেশ পেলে আইনি লড়াইয়ে যাবে বুয়েট: উপ-উপাচার্য প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ: তৃতীয় ধাপের ফল প্রকাশ হতে পারে আগামী সপ্তাহে - dainik shiksha প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ: তৃতীয় ধাপের ফল প্রকাশ হতে পারে আগামী সপ্তাহে ভূমির জটিলতা সমাধানে ভূমিকা রাখবেন নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা - dainik shiksha ভূমির জটিলতা সমাধানে ভূমিকা রাখবেন নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা সর্বজনীন শিক্ষক বদলি চালু হোক - dainik shiksha সর্বজনীন শিক্ষক বদলি চালু হোক ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের বিএসসির সমমান দিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কমিটি - dainik shiksha ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের বিএসসির সমমান দিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কমিটি রায় জালিয়াতি করে পদোন্নতি: শিক্ষা কর্মকর্তা গ্রেফতার - dainik shiksha রায় জালিয়াতি করে পদোন্নতি: শিক্ষা কর্মকর্তা গ্রেফতার কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0024871826171875