“বাবা কোনটে পাইম টাকা, টাকা পাবার তো কোনো পথ নাই, গাছ বেঁচেতো যা ছিল সউগ দিছোং, এ্যালা ভর্তির টাকা কোনটে পাইম, এবার মোর ছাওয়াটার কি হইবে”-এমন আহাজারী ঢাবি ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় চান্স পাওয়া মেধাবী শিক্ষার্থী সিরাজুল ইসলামের মা রোজিনা বেগমের।
সিরাজুল ইসলাম আদিতমারী উপজেলার সারপুকুর ইউনিয়নের তালুক হরিদাস (রইচবাগ) গ্রামের চায়ের দোকানদার মৃত দবিয়ার রহমানের ছেলে। মা রোজিনা বেগম অন্যের বাড়িতে ঝিয়ের কাজ করেন। ৭ ভাই-বোনের সবার ছোট মেধাবী সিরাজুল।
দিনমজুরি ও হকারী করে এ বছর ভর্তি পরীক্ষায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি যুদ্ধে অংশ নিয়ে ৩১তম মেধাক্রম অর্জন করেছেন। ভর্তির সুযোগ হয়েছে ইংরেজি বিষয়ে। শুধু জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে নয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি যুদ্ধে অংশ নিয়ে ‘ঘ’ ইউনিটে ৭২২তম মেধাক্রম অর্জন করেছেন। দেশের সেরা বিদ্যাপীঠে ভর্তির সুযোগ পেলেও অর্থের অভাবে উচ্চ শিক্ষা থেকে সটকে পড়ার আশঙ্কা করছেন সিরাজুল ইসলাম।[inside-a]
জন্ম থেকে অভাবের সঙ্গে নিত্য লড়াই করা সিরাজুল ইসলাম লালমনিরহাট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০১৫ সালে এসএসসি পরীক্ষায় ব্যবসা শিক্ষা শাখায় জিপিএ-৫ পায়। এরপর বগুড়ার হাজী মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন কমার্স কলেজ থেকে এইচএসসিতে জিপিএ- ৪.৭৫ পায়। বগুড়ায় থাকাকালীন বিভিন্ন জাতীয় দিবসগুলোতে হকারী করত সিরাজুল। শুধু তাই নয়, টাকার জন্য অন্যের বাড়িতে শ্রমিকের কাজ করত।
একটু সহযোগিতা পেলেই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হতে পারবেন সিরাজুল ইসলাম, এমনটাই দাবি এলাকাবাসীর। সিরাজুলের সঙ্গে যোগোযোগের মোবাইল নম্বর:০১৭২২৬৯০৮৭২।