ভিডিও করতে বাধা দেওয়ায় ইনডিপেনডেন্ট পত্রিকার বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী মীর আরশাদুল হককে লাঞ্ছিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর সোহেল রানা। এ সময় তিনি আরশাদকে বহিরাগত সাজিয়ে পুলিশে দেওয়ারও চেষ্টা করেন।
গতকাল রবিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে এ ঘটনা ঘটে।
মীর আরশাদুল হক বলেন, “উপাচার্যের সঙ্গে কেন্দ্রীয় প্রগতিশীল ছাত্রজোটের সাক্ষাতের সংবাদ সংগ্রহ শেষে ‘ঘ’ ইউনিটের ফল প্রকাশের সংবাদ সংগ্রহ করতে যাই। এ সময় সহকারী প্রক্টর সোহেল রানা আমার দিকে মোবাইল ক্যামেরা তাক করে আমার পেছন পেছন আসতে থাকেন। তাঁকে আমার ছবি তুলছেন কি না জানতে চাই। জবাবে তিনি ছবি তুলছেন জানালে আমি বলি, স্যার আমাকে না বলে আমার ছবি তুলছেন কেন? আর আমার পিছুই বা নিয়েছেন কেন? তখন সোহেল রানা বলেন, দাঁড়াও এবার তোমার ভিডিও করব। ভিডিও করতে গেলে আমি তাঁর ফোন চেপে ধরি। পরে তিনি উত্তেজিত হয়ে আমাকে মারতে উদ্যত হন। আমার আইডি কার্ড দেখতে চান। আমি সাংবাদিক পরিচয় দিলে তিনি আরো ক্ষিপ্ত হয়ে পুলিশ ডেকে আমাকে ধরে নিয়ে যেতে বলেন।
পরে উপস্থিত অন্যান্য সাংবাদিক এসে আমাকে উদ্ধার করেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এ কে এম গোলাম রব্বানী এসে আমাকে উপাচার্য কার্যালয়ে আটকে রাখেন। আমি সংবাদ সংগ্রহ করতে চাইলে তিনি আমাকে জোর করে সেখানে বসে থাকতে বলেন। ”
এ বিষয়ে সোহেল রানা বলেন, ‘আমি তার কোনো ছবি তুলিনি। আমি সবার ভিডিও করছিলাম। পরে তার পরিচয় জানতে চেয়েছি। ’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক আখতারুজ্জামান বলেন, ‘এটা অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। আমি বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেব। ’