ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ঘ’ ইউনিটের প্রশ্নফাঁসের বিষয়ে গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন না পাওয়া পর্যন্ত এ ইউনিটের ভর্তি কার্যক্রম বন্ধের দাবি জানিয়েছে প্রগতিশীল ছাত্র জোট।
সোমবার (২৩শে অক্টোবর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে জোটের কেন্দ্রীয় পরিচালনা কমিটি আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে আরো বলা হয় প্র্রশ্নফাঁসের বিষয়টি প্রমাণিত হলে পরীক্ষা বাতিল করে পুণরায় পরীক্ষা নিতে হবে এবং এ ঘটনায় জড়িত দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। একইসাথে প্রশ্নফাঁস রোধে আগামীতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে আরো তৎপর হওয়ারও দাবী জানানো হয়।
সম্মেলনে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট এর সভাপতি ইমরান হাবিব রুমন বলেন, প্রশ্নপত্র ফাঁস, ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহারসহ ভর্তি পরীক্ষায় বিভিন্ন ধরনের জালিয়াতি হচ্ছে। কিন্তু এর সাথে জড়িত প্রশাসনিক কর্তাব্যক্তিরা আড়ালে থেকে যাচ্ছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সমগ্র জাতির বিবেক। তাই এ ঘটনা সমগ্র জাতির জন্য লজ্জাজনক।
সংবাদ সম্মেলনে এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক লিটন নন্দী, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের (মার্কসবাদী) সভাপতি নাঈমা খালেদ মনিকা, সাধারণ সম্পাদক স্নেহার্দী চক্রবর্তী, ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি গোলাম মোস্তফা, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর যুগ্ম-আহ্বায়ক ইকবাল কবীর, ছাত্র ঐক্য ফোরামের সদস্য আর্নিকা তাসমীম প্রমুখ।
‘ঘ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ও তার ফলাফল বাতিল করে পুণরায় পরীক্ষার তারিখ ঘোষণার দাবিতে আগামীকাল মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রগতিশীল ছাত্র জোট বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করা হবে বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
গত শুক্রবার ‘ঘ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষার আগের রাতেই ইমেইল, ফেসবুকসহ অন্য ইলেক্ট্রনিক মাধ্যমে প্রশ্ন ছড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পর সমালোচনার মুখোমুখী হয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ফাঁস হওয়া প্রশ্ন দিয়ে অনুষ্ঠিত পরীক্ষা বাতিলের দাবিতে আন্দোলনে নামে প্রগতিশীল ছাত্র জোটের বিভিন্ন সংগঠন। গত রোববার আন্দোলনের মধ্যেই ফল প্রকাশ করে প্রশাসন।