ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেছেন, অনেক প্রাকৃতিক সম্পদ রয়েছে। কিন্তু জনসম্পদ এবং তার মাঝে যে তরুণ প্রজন্ম রয়েছে সেটিই সবচেয়ে বড় সম্পদ।
মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবন মিলনায়তনে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত বিভিন্ন বিভাগের ডিনস অ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
২০১৪ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত বিভিন্ন বিভাগের বিএসএস (সম্মান) শ্রেণিতে উর্ত্তীণ সর্বোচ্চ সিজিপিএ প্রাপ্ত ২৮ শিক্ষার্থীকে এ ডিনস অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়।
অ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্ত ২৮ শিক্ষার্থীর ১৭ জনই ছাত্রী হওয়া প্রসঙ্গে উপাচার্য বলেন, মেয়েরা এগিয়ে যাচ্ছে এটাই তার প্রমাণ। তাদের অভিনন্দন। একই সাথে ছাত্ররাও খুব পিছিয়ে যায়নি। আমরা চাই মেয়েরা এগিয়ে যাবে। একই সাথে ছেলেরা পিছিয়ে পড়লে চলবে না তদেরও সমানতালে এগিয়ে যেতে হবে।
অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন অধ্যাপক ড. এ জে এম শফিউল আলম ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, উপ উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান ও কোষাধ্যক্ষ কামাল উদ্দীন।
অ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্তদের উদ্দেশ্যে উপাচার্য বলেন, তোমরাই আগামীর বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আজ তোমাদের এ সম্মানিত জায়গায় নিয়ে এসেছে। এখানকার অনেক শিক্ষার্থীই জাতীয় স্বার্থে নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেছে। তোমরা তোমাদের সেভাবে তৈরি করবে। শুধু বাংলাদেশ নয় সারাবিশ্বকে এগিয়ে নেবে তোমরা।
তিনি বলেন, দেশের অনেক প্রাকৃতিক সম্পদ রয়েছে। কিন্তু জনসম্পদ এবং তার মাঝে যে তরুণ প্রজন্ম রয়েছে সেটিই সবচেয়ে বড় সম্পদ। তরুণ প্রজন্মের মেধাকে সঠিকভাবে কাজে লাগানো গেলেই তারা দেশের সবচেয়ে বড় সম্পদ হিসেবে ভূমিকা রাখতে পারবে।
তিনি বলেন, জাতির জনকের একটা স্বপ্ন ছিল। তিনি বলেছেন, ‘আমরা সোনার মানুষ চাই।’ এ সোনার মানুষ হচ্ছে, তারা যারা সত্যের পথে থাকে, দেশপ্রেমিক, মূল্যবোধসম্পন্ন ও সফল মানুষ। আমি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের মাঝে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সে সোনার মানুষ দেখতে চাই। তোমাদের মাঝে সেই বৈশিষ্ট্য সবসময় থাকবে।
তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, শুধু একাডেমিক ক্ষেত্রে আমি অবদান রাখলাম এবং ভালো ফলাফল করলাম সেটি নয়। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের যে দীর্ঘদিনের ঐতিহ্য, এখানে আমরা একজন পরিপূর্ণ মানুষ হিসেবে তোমাদের গড়ে তুলতে চাই। একাডেমিক বিষয়, কো-কারিকুলাম অ্যাক্টিভিটিস, মানবিক বিষয়গুলোতে তোমাদের দখল থাকবে। আর তোমাদের প্রতিটি পদক্ষেপ একটি জায়গায় স্থির থাকতে হবে, সেটি হচ্ছে সত্যনিষ্ঠা। কোনো পদক্ষেপে মিথ্যা ও প্রতারণার আশ্রয় নেবে না। সৎ পথে থাকবে।
তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে আরও বলেন, কখনো হয়তো মনে হবে আমি লক্ষ্য অর্জনে একটু পিছিয়ে পড়লাম কিনা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দেখবে তোমারই জয়ী হবে।