তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গাজীপুরে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভাংচুর করেছেন মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা। উত্তেজিত ছাত্ররা হাসপাতালের এক্সরে কক্ষ ও আসবাবপত্র ভাংচুর এবং আউটসোর্সিং কর্মচারীদের মারধর করেন। এ সময় ছাত্ররা হাসপাতালের অনিয়ম অব্যবস্থার প্রতিবাদ জানান এবং আউটসোর্সিং ঠিকাদারের বিরুদ্ধে স্লোগান দেন।
সোমবার দুপুরে এক ছাত্র তার মায়ের এক্সরে করাতে গিয়ে কথা কাটাকাটি থেকে এ ঘটনার সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে পুলিশ পরিস্থিতি শান্ত করে।
জানা গেছে, শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা হাসপাতালের অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনায় দীর্ঘদিন ধরে ক্ষুব্ধ। দুপুরে মেডিকেল কলেজের এক ছাত্র তার মাকে এক্সরে করাতে হাসপাতালের নিয়ে যান। টিকিটে চিকিৎসকের স্বাক্ষর না থাকায় টেকনিশিয়ান এক্সরে করতে অপারগতা প্রকাশ করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওই ছাত্র ফিরে যান। পরে ছাত্ররা জোট বেঁধে এক্সরে কক্ষে গিয়ে ভাংচুর করেন। এ সময় সেখানে উপস্থিত আউটসোসিং কর্মচারী শাহীন বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে শিক্ষার্থী এবং আউটসোসিং কর্মচারীদের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও মারামারি বেঁধে যায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ছাত্র জানান, আউটসোসিং কর্মচারীদের দুর্ব্যবহারে তারা অতিষ্ঠ। ক্ষিপ্ত ছাত্ররা তাদের নানা অনিয়মের প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ছাত্ররা ভাংচুর ও মিছিল শুরু করলে হাসপাতালে আসা নারী-পুরুষ এবং শিশুরা রোগীরা ছুটাছুটি করে পালাতে থাকে। এ সময় আউটসোসিং কর্মচারীরা হাসপাতাল ছেড়ে চলে যান। পরে পুলিশ আসলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
এক্সরে টেকনিশিয়ান মোফাজ্জল হোসেন জানান, একজন ছাত্র চিকিৎসকের স্বাক্ষর ছাড়া এসে এক্সরে করতে বলে। চিকিৎসকের স্বাক্ষর নিয়ে পরদিন আসতে বললে ওই ছাত্র চলে যান। ঘণ্টা খানেক পর ছাত্ররা দল বেঁধে এসে ভাংচুর শুরু করে।
জয়দেবপুর থানার এসআই মো. আব্দুল মালেক জানান, খবর পেয়ে হাসপাতালে গেলে পরিস্থিতি শান্ত হয়। হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক প্রণয় ভূষণ দাশ জানান, ছাত্র ও আউটসোর্সিং কর্মীদের ভুল বোঝাবুঝি থেকে একটি বিছিন্ন ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতি নিয়ে মঙ্গলবার উভয় পক্ষের সঙ্গে বসে বিষয়টি মিটমাট করা হবে।